নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হৃদয়বিদারক এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন স্থানীয় সাংবাদিক রাহিদ। সড়ক দুর্ঘটনার লাইভ সম্প্রচারের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে ঘটনাস্থলে তিনি দেখতে পান দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি আর কেউ নন, তার নিজের বাবা। পরে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার বাবা মারা যান।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে নাটোর শহরের হরিশপুর বাইপাস চত্বরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন সাংবাদিক রাহির বাবা মজিবর রহমান (৬০)। তিনি সদর উপজেলার আটঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও নাটোর শহরের নীচাবাজারে সবজি বিক্রেতা ছিলেন।

সাংবাদিক রাহিদ ‘সংবাদ শৈলী’ নামে একটি স্থানীয় নিউজ পোর্টালে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, সকালে একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফেসবুক লাইভ করার জন্য ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়েই দেখি একজন ব্যক্তি আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। কাছে গিয়ে দেখি তিনি আমার বাবা।

স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় পথেই তিনি মারা যান।

রাহিদ আরও জানান, সকালে তার বাবা প্রতিদিনের মতো নীচাবাজারে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। পথে হরিশপুর বাইপাস চত্বরে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তার বাবা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।