কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিলকিস খন্দকার দৈনিক দেশ প্রতিদিনকে জানান, "১৯৭৩ সালে সড়কের বিপরীত পাশে ৩৬ শতাংশ জমি আবদুর রব নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যালয়ের নামে কেনা হয়।আবদুর রব জমিটি ক্রয় করেছিলেন শংকর নামের এক লোকের কাছ থেকে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিটিতে "বিদ্যালয়ের জমি" মর্মে সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের প্রয়োজনে নামজারি করতে গেলে দেখা যায়, শংকরের নাতি নিখিল দেব নাথ ও নেপাল দেব নাথ উক্ত জমি ২০২২ সালে তাদের নিজেদের নামজারি করে নিয়ে গেছে। পরে আমরা আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে একটি মিসকেস করি। বর্তমানে তা চলমান রয়েছে।রোববার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আয়ুবীর সকাল ১০.৩০ টায় তদন্তে আসার কথা ছিল। জমিতে কলেজের নামে সাইনবোর্ড ছিল। কিন্তু আবুল হাসান মোস্তান সকাল ১০ টার দিকে ১০-১২ জন লোক নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড ফেলে তাঁদের নামের সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন। এর খবর আমাদের কাছে আসলে দ্রুত আমরা সেখানে যাই। খবর দ্রুত আসেপাশে ছড়িয়ে পড়লে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা সড়কটি অবরোধ করে। ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকে।পরে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসে জমি দখলের বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয় এবং বিদ্যালয়ে ফিরে যায়।"তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানিয়েছি। তাঁরা উভয় পক্ষকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার কথা বলেছেন।'

কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমি  দখলচেস্টার প্রতিবাদে  শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন করে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন  প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার দুপুরে কেরানীগঞ্জের কালিন্দী এলাকায় ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেন তাঁরা। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন।

অবরোধের কারণে প্রায় আধা ঘন্টা ঢাকা —নবাবগঞ্জ সড়কটিতে  যানজটের সৃষ্টি  হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থলে এসে জমি দখলের বিষয়টির সমাধানের  আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয় এবং  বিদ্যালয়ে ফিরে যায়।

কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিলকিস খন্দকার দৈনিক দেশ প্রতিদিনকে জানান, "১৯৭৩ সালে সড়কের বিপরীত পাশে ৩৬ শতাংশ জমি আবদুর রব নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বিদ্যালয়ের নামে কেনা হয়।আবদুর রব জমিটি ক্রয় করেছিলেন শংকর নামের এক লোকের কাছ থেকে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিটিতে "বিদ্যালয়ের জমি" মর্মে সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের প্রয়োজনে নামজারি করতে গেলে দেখা যায়,  শংকরের নাতি নিখিল দেব নাথ ও নেপাল দেব নাথ উক্ত জমি  ২০২২ সালে তাদের নিজেদের  নামজারি করে নিয়ে গেছে। পরে আমরা আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে একটি মিসকেস করি। বর্তমানে তা চলমান রয়েছে।রোববার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আয়ুবীর সকাল ১০.৩০ টায় তদন্তে আসার কথা ছিল। জমিতে কলেজের নামে সাইনবোর্ড ছিল। কিন্তু আবুল হাসান মোস্তান সকাল ১০ টার দিকে  ১০-১২ জন লোক নিয়ে  আমাদের বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড  ফেলে তাঁদের নামের সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন। এর খবর আমাদের কাছে আসলে দ্রুত আমরা সেখানে যাই। খবর দ্রুত আসেপাশে ছড়িয়ে পড়লে আমাদের শিক্ষার্থীরা  বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা সড়কটি অবরোধ করে। ফলে  প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকে।পরে খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল  ঘটনাস্থলে  আসেন। তিনি এসে জমি দখলের বিষয়টির সমাধানের  আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয় এবং  বিদ্যালয়ে ফিরে যায়।"তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানিয়েছি। তাঁরা উভয় পক্ষকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার কথা বলেছেন।'

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, 'সকালে বিদ্যালয়ে এসে জানতে পারি, "কিছু  লোক আমাদের বিদ্যালয়ের জমি দখল করতে চাচ্ছে। তখনই আমরা  আমাদের বিদ্যালয়ের জমি রক্ষার্থে    বিক্ষোভ করি।এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।"

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. ইউসুফ বলেন, "কেরানীগঞ্জে প্রায়ই  বিভিন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি দখলের অভিযোগ উঠছে । তাই কেরানীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের জমি দখলের বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেয়ার কোন অবকাশ নেই।  কোনো অবস্থাতেই যাতে বিদ্যালয়ের জমি দখল না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
জমির বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল হাসান মোস্তান বলেন, "জায়গাটি নিয়ে কেরানীগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসে একটি মামলা চলমান রয়েছে। আমি জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছে। আমরা তাই সেখান  থেকে চলে এসেছি।  বৈধ ওয়ারিশের কাছ থেকে আমরা জমিটি কিনেছি।যেহেতু মামলা চলমান তাই আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে, সেইভাবেই কাজ করব।"

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল  বলেন," ওই জমির বায়না সূত্রে সেখানে গিয়েছিলেন আবুল হাসান মোস্তান। রোববার তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। জমি রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে কিছু সময় সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। আমরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের  বুঝিয়ে বিদ্যালয়ে ফেরত পাঠিয়েছি।"

কেরানীগঞ্জ মডেল রাজস্ব সার্কেল সহকারী  কমিশনার (ভূমি) সালাউদ্দিন আইয়ুবী বলেন, ওই একটি জমির মালিকানা নিয়ে প্রায় দুই মাস আগে বিদ্যালয়ের পক্ষে মিসকেস করা হয়েছে।  বিষয়টি  তদন্তাধীন। তদন্তের জন্য গত রবিবার একজন সার্ভেয়ার পাঠিয়েছিলাম। এর আগেই সেখানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তারা ফিরে আসেন।"