র্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে এই বাহিনী। সন্ত্রাস, হত্যা, মাদক, অস্ত্র ও সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তারা ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিদের গ্রেফতার করেছে।
কেরাণীগঞ্জের সৎ ছেলে হত্যা মামলা
তফুরা খাতুন (৩৪) ও তার ছেলে রাকিবুল সরদার (১৪) দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর তফুরা মো. আজহারুল সরদার (৩৬)-কে বিয়ে করেন। তবে নির্যাতনের কারণে ৩/৪ মাস আগে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন। এরপর থেকে আজহারুল নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিল।
গত ১৪ আগস্ট রাকিবুল কাজে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। ১৬ আগস্ট পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় আজহারুলের ভাড়াবাড়ি থেকে রাকিবুলের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়।
র্যাব জানায়, মামলার মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা মহানগরীর হরিণটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজহারুল সরদারকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে রাকিবুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিলের ভিতর বস্তাবন্দি লাশ
১৩ আগস্ট বিকেলে মো. রেদুয়ান (২৮) মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনসহ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। দুই দিন পর ফরিদপুরের ভাঙ্গার চারালদিয়া গ্রামের বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১০ জানায়, ১৮ আগস্ট ভোরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার চারালদিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি জহুরুল মুন্সী ওরফে সুলতান জহির (২৫)-কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, ভিকটিমের মোটরসাইকেল, রক্তমাখা জামাকাপড়সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে যে, রেদুয়ানের সঙ্গে তার পূর্বে সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। পরে সম্পর্কের অবসান ঘটাতে চাইলে জোর করার চেষ্টা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে জহুরুল তাকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে মরদেহ বিলের পানিতে ফেলে দেয়।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।