ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ সেলিম বলেন,আমি বাড়ি করার উদ্দেশ্যে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বরাব মৌজার যাহার দাগ নং ৩২২ ও খতিয়ান নং ৬২৬ হইতে গত ৮ নভেম্বর ২০০৭ সালে সাব কবলা দলিলমূলে সাড়ে ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করি।তিনি বলেন,আমি একজন মানবাধিকার কর্মী,নিল মানবাধিকার সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান।আমি বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার স্হানীয় কিছু লোকের মাধ্যমে জানতে পারি আমার জমি হইতে স্হানীয় ভূমিদস্যু অলি ও কতিপয় সন্ত্রাসীরা মিলে জোর করে ড্রাম ট্রাকে করে জমির ভিটে থেকে মাটি কেটে নিয়ে গিয়েছে।সংবাদ পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে আমার নিজ জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ার সত্যতা খুঁজে পেয়েছি।পরে সন্ত্রাসীরা আমাকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।ভুক্তভোগী সেলিম বলেন,এর আগেও এই সন্ত্রাসী গ্রুপটি আমার জমি থেকে সীমানার বেড়া ও জমির উপর দেয়া সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায় এবং আমাকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়।তিনি বলেন,এ বিষয়ে সে সময় স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান স্হানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল আবেদীনকে দায়িত্ব দেন।এতে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় আমি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে জানাই কিন্তু এতেও কোন সমাধান পাইনি।পরবর্তীতে আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি বিষয়টি অবগত করিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়কে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অবগত করেন।কিন্তু আমি বিএনপির একনিষ্ঠ একজন কর্মী হওয়ায় এবং আমার বাবা ক্যাপ্টেন নুরুল ইসলাম (বীরপ্রতীক)শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এডিসি হওয়ার কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি,উপরন্তু ১৫ মার্চ ২০২৩ এএসআই অরুণ মজুমদার আমাকে গ্রেফতার করে আয়না ঘরের ভয় দেখায় এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে বলেন।এমতাবস্থায় আমি বর্তমান সরকার এবং প্রশাসনের নিকট সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি।জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় কিছু লোকজন এর সত্যতা স্বীকার করেন।ভুক্তভোগী এখন পর্যন্ত কোথাও কোন লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানান।এবিষয়ে অলি আহমেদ মুঠোফোনে সীমানার বেড়া ও সাইনবোর্ড খুলে নেয়ার কথা অস্বীকার করলেও জমি থেকে চারা লাগানোর জন্য ১০-১২ ব্যাগ মাটি কেটে নেয়ার কথা স্বীকার করেন এবং পরবর্তীতে গর্ত ভরাট করে দেন বলে তিনি জানান।