এ হামলায় পাঁচ বছরের শিশু সহ দুই জন আহত। বিএনপি নেতাদের ক্ষমতা দেখিয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ রয়েছে আক্তারের বিরুদ্ধে।
আহত শিশুর মা, সিজন শিলা অভিযোগ করে বলেন, আমার শশুর মৃত নেপাল মিয়া গরীব অসহায় ভূমিহিন ছিল বিধায় সরকারের কাছে আবেদন দিয়ে ৪ শতাংশ সরকারি ভিপি জায়গায় বসবাস করি । যাহার ভিপি কেস নং- ২৫০/৭৮ আমার স্বামীরা পাচ ভাই। আমার শ্বশুর মারা যাওয়ার পর দুই ভাই অন্যত্র চলে যায়। উক্ত জায়গায় তিন ভাই শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসিতে ছিলাম। তিন ভাই বিবাহ করার পরে এ সম্পত্তি সমান হারে বন্টন করে আলাদা ভাবে সরকারি খাজনা পরিষদ করে আসিতেছি। কিন্তু আমার স্বামীর ইমিডিয়েট বড় ভাই আক্তার হোসেন গত বছর আওয়ামী নেতারদের ছত্রছায়ায় আমার মেঝু ভাই কে বিভিন্ন ভাবে টর্চার ও মানসিক হেনেস্তা করে বাড়ি থেকে বিতারিত করে। পরে তার যায়গাটা নিজের নামে করে নেয়। এ বিষয়ে মেঝু ভাই থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ও এলাকাবাসী এর সত্যতা পেয়ে কিছু টাকা জরিমানা করে বড় ভাই আক্তার কে। মেঝু ভাই চলে যাওয়ার চার মাস পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে আক্তার হোসেন বিএনপির নেতাদের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে থাকে। সরকার পতনের ছয় মাস পরে ছোট ভাই আক্তার হোসেন বলে আমার এ যায়গাটাও তার লাগবেএবং জোরপূর্বক তার অংশের সমস্ত জায়গায় জুড়ে অবৈধভাবে ইমারত তৈরি করে এবং আমার স্বামীর অংশের উপর দিয়ে জোরপূর্বক চলাচল শুরু করে এবং আমার স্বামী সন্তান সহ আমাদেরকে আমাকে অন্যত্র চলে যেতে বলে।আমার স্বামী ছোট্ট একটা চাকুরী করে। মেয়ে আর স্বামীনকে নিয়ে বন্টনে পাওয়া ১.২২ শতাংশ জায়গার উপর ঘর তুলে থাকি। সব সময় ও আমার পরিবারের উপর নানান ভাবে হেনস্তা করে আসছে। আমার এ আহত মেয়ের যখন ৬ মাস বয়স তখনো সে আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার রান্নাঘর তালা বন্ধ করে রাখে।তখন থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ এসে রান্নাঘরের তালা খুলে দেওয়ার পরে আমি আমার নবরজাতকের মুখে বিলম্বে খাবার তুলে দেই যা আমার এলাকাবাসী সবাই জানে। বর্তমানে তার পুরাতন বাড়িটি ভেঙ্গে নতুন করে ছাদ ঢালাই করে ঘর তুলার কাজ সম্পন্ন করছে। এখন তার চলাচলের জন্য আমার স্বামীর অংশের সামনের জায়গাটুকু তার নামে জোরপূর্বক লিখে দিতে বাধ্য করে এবং অন্যত্র চলে যেতে বলে। তার পুরো জায়গাটা লাগবে। গত বৃহস্পতিবার আমার স্বামী অফিসে থাকাকালীন সময়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ছোট্ট মেয়ে ও আমার উপর আঘাত করে। আমি তখন ৯৯৯ কল করে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি। এর কিছুক্ষণ পরে
আমার স্বামী খবর পেয়ে আমাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ পর্যায়ে অল্পের জন্য বেঁচে যায় যাই আমরা । আক্তার হোসেনে ছোটবেলা থেকেই এরকম উগ্র স্বভাবের । এখন বিএনপি নেতাদের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকেও এ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করছে। আমি প্রশাসন এবং এলাকাবাসীর কাছে ন্যায়বিচার চাই।