গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম গত ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে টুংগীপাড়া থানায় যোগদান করেন। পূর্ববর্তী কর্মস্থল মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়। দায়িত্ব নেয়ার পরদিনই তিনি টুঙ্গিপাড়া সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।


সভায় ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, "আমি আজ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলাম।" তিনি বলেন, “সমাজে যত অপরাধ রয়েছে, তার মূল উৎস হচ্ছে মাদক ও ধূমপান। ধূমপানের মাধ্যমেই কিশোর ও তরুণেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে, যার ফলশ্রুতিতে চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ ও খুনের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়।”

তিনি আরো উল্লেখ করেন, “গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৫% শিশুর শরীরে নিকোটিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যার প্রধান কারণ পরিবারের বা আশেপাশের লোকদের প্রকাশ্যে ধূমপান। তাই এখন থেকে প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি যদি দেড় বছর এই থানায় দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে তিন ধাপে টুঙ্গিপাড়াকে একটি সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত ও আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তুলবো।”

তিনি ধাপভিত্তিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন:
প্রথম ৬ মাস: সচেতনতা, তালিকা প্রণয়ন ও প্রথম ধাপের অভিযান।- এক বছর মাদক ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান ও আইনি ব্যবস্থা।
দেড় বছর শেষে টুঙ্গিপাড়া হবে একটি মডেল মাদকমুক্ত থানা যা দেশের অন্যান্য থানার জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।

এ সময় তিনি টুঙ্গিপাড়ার সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। গণমাধ্যমের সহায়তা পেলে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন সহজ হবে।”

টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দ নবাগত ওসিকে শুভেচ্ছা জানান এবং তার উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ওসি জাহিদুল ইসলামের এই বক্তব্য ও পরিকল্পনা টুঙ্গিপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। স্থানীয় জনগণ তার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এবার হয়তো সত্যিই মাদকমুক্ত টুঙ্গিপাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।