শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর কবীরকে হুমকির প্রতিবাদ ও বদলীর আদেশ (স্ট্যান্ড রিলিজ) বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কৃষক কৃষাণীরা। সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীদের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সম্মুখে এই মানববন্ধন ও মানববন্ধন শেষে শহরের তারাগঞ্জ উত্তর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কৃষক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রসাইতলা গ্রামের কৃষক আব্দুল ওহাব, বিশগিরীপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান, আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ, তন্তর গ্রামের আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।
পরে মাননবন্ধন শেষে তিন শতাধিক কৃষকের অংশগ্রহনে শহরের তারাগঞ্জ উত্তর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার উপজেলার সাধারণ কৃষকদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। ঝড় বৃষ্টি আধার রাতে কৃষকদের যেকোন প্রয়োজনে আমরা তাকে পাশে পেয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি ভেজাল ও নকল কীটনাশক বিরোধী অভিযান পরিচালনার পর তাকে হুমকি দেওয়া হয়। আর হুমকির ২৪ ঘন্টা পার না হতেই তাঁর নামে বদলীর নোটিশ চলে আসে। যা নালিতাবাড়ীর কৃষকদের জন্যও ক্ষতি হয়েছে। বক্তারা আরোও বলেন, সারা দেশে সার সংকট ও সারের বাড়তি দাম থাকলেও কৃষি অফিসারের তদারকিতে নালিতাবাড়ীতে আমরা কখনই সার সংকটে পরিনি।
আর আমাদের জন্য কাজ করতে গিয়েই তাকে আজ বদলী হতে হলো। তাই নালিতাবাড়ীর কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা চাই কৃষি অফিসার আলমগীর কবীরের স্ট্যান্ড রিলিজ (বদলী আদেশ) যেনো স্থগিত করা হয়। এর আগে গত ২৯ মার্চ ভেজাল বিরোধী অভিযানে শহরের সাহা ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে রাজিব এগ্রো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের মাইক্রোভিট নামে অনুমোদনহীন ৬ কার্টুন কীটনাশক পায় উপজেলা ও জেলার কৃষিকর্মকর্তারা। পরে গত ৩ এপ্রিল এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিলে উপজেলা কৃষি অফিসারকে বদলীর হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে হুমকির ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই পরদিন ৪ এপ্রিল সকালে কৃষি মন্ত্রনালয়ের উপসচিব আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে কৃষি অফিসার কর্মকর্তা আলমগীর কবীরকে স্ট্যান্ড রিলিজ দেওয়া হয় এবং রাঙামাটি উপজেলার বরকল উপজেলায় যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।