কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের তিন বছরের মাথায় বিভিন্ন ক্রটি বিচ্যুতি দেখা দিয়েছে। এতে মুসল্লিরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কার্যক্রম।

মুসল্লিদের অভিযোগ, মডেল মসুজিদ নির্মাণের কয়েক দিন পর বর্ষা এলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়েছে, এতে মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়েছে। এছাড়া বৈদ্যুতিক পাইপ বেয়ে পানি যাচ্ছে ডিবিগুলোতে। এতে বিদ্যুতের লাইনে বারবার স্ফুলিঙ্গের ঘটনা ঘটছে। দ্বিতীয় তলার মার্বেল পাথরও উঠতে শুরু করেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করেছে ঠিকাদার। এমনকি মরিচা ধরা রডও ব্যবহার করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ তাদের।

মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা আবদুল কাইয়ুম মজুমদার বলেন, মসজিদের ক্রটির বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগ ও ঠিকাদারকে জানানো হলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, এটি গণপূর্ত বিভাগের বিষয়। এরপরও আমি বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গেও বিষয়টি আলোচনা করেছি। ঠিকাদারকেও বলা হয়েছে কাজ করতে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর রাসেদুল করিম বলেন, কেউ আমাকে বিষয়টি জানায়নি। আপনার মাধ্যমে জানলাম। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে নাঙ্গলকোট মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। এতে নামাজের পাশাপাশি সহজ কোরআন শিক্ষা, বৃদ্ধদের তালিমুল কোরআন, মৃতদের গোসলের ব্যবস্থা ও ইমাম প্রশিক্ষণের কার্যক্রমের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই মসজিদটি উদ্বোধন করা হয় এবং ২০২৪ সালের ৮ মার্চ থেকে এখানে নিয়মিত নামাজ শুরু হয়।