সোমবার থানায় মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ শামিম শাহ আলম তমু। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও একশ থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।’

নীলফামারীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৪১ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার থানায় মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলা যুবদল নেতা মোঃ শামিম শাহ আলম তমু। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও একশ থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।’

আসামিরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃমাহাবুল আলম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশের মতো নীলফামারীতে ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। ওই সময় উল্লেখিত ব্যক্তিরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এলিন এন্টার প্রাইজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট করে।এ সময় বাদীকে না পেয়ে তারা স্থান ত্যাগের সময় প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে বাদীর দুইটি মাইক্রোবাস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় থাকা অপর একটি ব্যক্তিগত কারে অগ্নিসংযোগ করা হয়।এসব ঘটনায় দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র, দুই লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকার যন্ত্রাংশ, ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি গাড়িসহ মোট ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়।