মুক্তা বিদ্যালয় ছুটির পর তার দুই বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে একই গ্রামের একই গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে কাউছার (১৯) অতর্কিতে তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় মুক্তা।

জেলার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মণকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান আসামি কাউছার মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার(৩মে) বিকাল ৩টার দিকে বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রাম তাকে আটক করা হয় বলে জানান বারহাট্টা থানার ওসি খোকন কুমার সাহা। তিনি বলেন, “কাউছারকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালায়। পরে প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে তাকে আটক করে জেলা পুলিশের সম্মিলিত একটি দল। পরিবারের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার মুক্তা বিদ্যালয় ছুটির পর তার দুই বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে একই গ্রামের একই গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে কাউছার (১৯) অতর্কিতে তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় মুক্তা।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকাল ৫টায় মুক্তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে ওসি জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে কাউছারকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। নিহত মুক্তা রাণী বর্মন  (১৬) উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে ও প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।