পটিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে ইচ্ছুক শিক্ষিকা মিনু আরা বেগম। মার্চের শুরু হতে পারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার ধাপে ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে সংস্থাটি।
এক্ষেত্রে মার্চের প্রথমার্ধে শুরু হতে পারে এ নির্বাচন। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জানুয়ারির শেষের দিকে তফসিল হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথম ধাপের ভোট মার্চের শুরুর দিকেই অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে গতবার কোন উপজেলায় কবে ভোট হয়েছে, কবে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রভৃতি তথ্য দিতে বলেছে সংস্থাটি।
চট্টগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসীল যখনই যেধাপে ঘোষনা হোকনা কেন ইতিমধ্যে সারাদেশ প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ ও নির্বাচনের হিসাব নিকাশ শুরু হয়েছে।বিভিন্ন সূত্রমতে এইবার ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন দলীয় ভাবে দলীয় প্রতীকে না হয়ে উন্মুক্ত নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছেন বলে সরকারী হাইকমান্ডের চিন্তা ভাবনা আছে বলে শুনা যাচ্ছে।
নির্বাচন যেভাবেই হোকনা কেন,এইবার চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলা থেকে সরাসরি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা মিনু আরা বেগম।তিনি জানান সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নয়,আমি সরাসরি চেয়ারম্যান পদে সাধারণ প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে করতে আগ্রহী। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে সকল শ্রেণী পেশার নারীদেরকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে নেতৃত্বে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন উনি নিজেও একজন নারী তাই উনি নারীর অধিকার রক্ষায় সবসময় সোচ্চার।
উনি এমপি মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে সিটি পৌরসভা জেলা পরিষদ উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে নারী জনপ্রতিনিধি সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। সকল শ্রেণী পেশা থেকে নারী জনপ্রতিনিধি হলেও সেই হিসাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা থেকে কোন নারী শিক্ষিকাকে এখনও পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারেনি বিধায় আমি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলা থেকে এইবার নির্বাচনে সাধারণ প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক হয়েছি। পটিয়া একটি শিক্ষা সংস্কৃতি ঐতিহ্য মণ্ডিত এলাকা।তাই এই ঐতিহাসিক উপজেলা থেকে আমি নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করতেছি।
এই পটিয়াতে কলেজ মাধ্যমিক স্কুল প্রাথমিক স্কুল মিলে প্রায় পাচঁ হাজারের বেশি শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। আমি একজন শিক্ষিকা হিসাবে আমার পেশার সন্মানিত শিক্ষক শিক্ষিকাও পটিয়ার সন্মানিত জনগণের আমি ভালোবাসা পাবো বলে আশা করি।আর নির্বাচন যদি দলীয় ভাবেই হয় তাহলেও আমি চট্টগ্রামের সন্মানিত নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অন্যান্য পেশার প্রার্থীদের মতো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা থেকে মনোনয়নের আবেদন জানাবো।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল পেশার নারীকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন নারীর ক্ষমতায়নও নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে।বাকি রেখেছেন শুধুই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পেশা থেকে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশা করি আমাকে নিরাশ করবেননা। মনোনয়ন যদি না দেন তাহলে পরিস্থিতি বুঝেই পটিয়ার জনগণ আমাকে যদি বলেন তাহলে আমি পটিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবো ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য যে, শিক্ষিকা মিনু আরা বেগম পটিয়া উপজেলা র হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের পূর্বহুলাইন ৩নং ওয়ার্ড সামরবাড়ীর বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম সুবেদার আহমদ নবীর পুত্রবধূ এবং তিনি হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের "হাবিলাসদ্বীপ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়" এর সিনিয়র শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত আছেন।শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি-এমএ, বিএড,বিপিএড ছাড়াও তিনিও স্কাউট,বিএনসিসি,গার্লস গাইড,বিষয়ে শতাধিক উচ্চতর প্রশিক্ষণ সনদ প্রাপ্ত একজন দক্ষ ক্রীড়া ও নারী সংগঠক।
মিনু আরা বেগম চট্টগ্রাম বোয়ালখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা ও বোয়ালখালী পৌরসভা আওয়ামীলীগ সহ- সভাপতি প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আকবর চৌধুরীর কন্যা।