মহিপুরে সরকারি উদ্যোগে রোপিত গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার লতাচাপরি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বন বিভাগের সিআইপি প্রকল্পের আওতায় রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগণের দাবি, সরকারি উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ সুরক্ষায় এবং রাস্তার টেকসই উন্নয়নে এগুলি রোপিত হয়েছিল। কিন্তু এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি এই গাছ কেটে নিয়ে গেছে, যা প্রকল্পটির উদ্দেশ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে।সরোজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ব্যস্ত পাকা রাস্তার পাশে বন বিভাগ কর্তৃক সৃজনকৃত এই গাছগুলি উপকূলকে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সহায়ক ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান যে, প্রভাবশালী মোঃ আমির শেখ এই গাছগুলি কেটে নিয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, এই অঞ্চলের মানুষ ঝড় ও বন্যার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে, এবং সরকারের এই উদ্যোগ তাদের জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল।মহিপুর রেঞ্জের বন বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, তিনি এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন এবং সরোজমিনে পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। তিনি আরও জানান যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এই ধরনের ঘটনা সরকারের পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির প্রতি আস্থার সংকট সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং সমাজে আইন ও শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। তারা আরও বলেন, বন আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।এই ঘটনাটি একটি বড় প্রশ্ন উত্থাপন করছে: কিভাবে একটি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় এবং পরিবেশের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যায়? স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশবিদদের মতে, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতিকর কাজ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।সাম্প্রতিককালে, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও বাড়ছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলি উপকূলীয় জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। তাই, এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ কা হবে