স্থানীয়রা জানান, যেকোনো সময় অতিবৃষ্টি বা জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে স্কুল, কলেজ, বসতবাড়ি ও শত শত বিঘা ফসলি জমি পানিবন্দী হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে আড়ংঘাটা ঋষিপাড়া শ্মশানঘাট সংলগ্ন স্থানটি।
বিষয়টি গত ২৩ আগস্ট জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ২৫ আগস্ট উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় প্রেসক্লাব পাইকগাছার সাধারণ সম্পাদক এম জালাল উদ্দীন জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের দাবি উত্থাপন করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৭ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরিপ কার্যক্রম শুরু করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দ্রুত সংস্কার কাজ শুরুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন আর কে বি কে হরিশ চন্দ্র কলেজিয়েট স্কুলের সিনিয়র প্রভাষক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা জেলা ইউনিট সদস্য আব্দুল মমিন সানা, বিকাশ চন্দ্র সরকার, অনাথ দাস, সুব্রত দাস ,বিধানশীল, স্বপন দাস,তাপস দাস,সাধন দাস সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকাবাসী।
বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও এক ধরনের আনন্দের সঞ্চার হয়েছে।