দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এই অংশ করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট মমিন জানান, আমরা সরজমিনে গিয়ে প্রমাণ পেয়ে অনুমোদনহীন সেই অংশটি গুড়িয়ে দিয়েছি। জানা গেছে, রাজধানীর ওয়ারীর ৪১ নং ওয়ার্ডের ওই বাড়িটি এখনো নির্মানাধীণ। নিচের বেশ কয়েকটি ফ্লাটের কাজ শেষ হলেও বর্ধিত ওই অংশগুলোর কাজ চলছিলো। এরই মধ্যে রাজউকের অভিযানে তা ভাঙা হলো। ওই বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় থাকেন শরীফুল ইসলাম, যিনি কিছুদিন আগে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের কারণে দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর করে তিনি ক্লাসিক বিল্ডার্সের মালিকানা নিয়েছেন। যে ফ্লাটে তিনি থাকছেন তাও দখল করে নেয়া। সূত্রাপুর থানার এসআই হিসেবে কর্মরত তার আপন ভাই নাহিদ ইসলাম একই বিল্ডিংয়ের ১২ তলায় থাকেন। সেটিও একইভাবে জবরদখল করে নেয়া। ভাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি করায় দলীয় ক্ষমতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে তিনি ভয় দেখাতেন। এভাবেই রাজউককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৯ তলার অনুমোদন নেয়া ভবনকে ১৪ তলায় উঠিয়েছেন।
জানতে চাইলে ক্লাসিক বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফোনে টেক্সট করলেও কোনো উত্তর দেননি। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলামকে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সম্প্রতি শরিফুলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।