ইকবাল হুসাইন, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নের বাঁশতলা শিলপুর সংযোগ সড়কের খড়িয়া নদীর উপর একটি ব্রীজের অভাবে জন দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। অর্ধশত বছরেরও অধিক সময় ধরে মামুষজন একটি ব্রীজের আশায় দিনগুনছে।এ পথে প্রতিদিন চলাচলকারী স্কুল কলেজগামী শতশত ছাত্র ছাত্রী সহ রিকসা, ভেন, সাইকেল মোটরসাইকেল নৌকায় উঠিয়ে বহু কষ্টে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। বর্ষা কালে নদীর পানি একটু কমে গেলেই হাটুসম কাদা হয়ে নৌকায় পারাপার বন্ধ হয়ে যায়।ফলে পায়ে হেটে নদী পারাপার করতে গিয়ে অনেকেই পা পিচলে কাঁদাপানিতে গড়াগড়ি খায়।সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিকসা উল্টে আহত হওয়ার মত ঘটনা অহরহই ঘটে। এমনকি বর্ষার মৌসুমে নৌকা ঢুবির মতো ঘটনারও ঘটে।জন দুর্ভোগের এসব বাস্তব চিত্র জাতীয় ও বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও কর্তাগন এ বিষয়ে অবগত আছেন। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
এখানে বীজ হবে মর্মে বিগত দিনে অনেক নেতারা আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বারবার মাপজোক হয়েছে, সয়েল টেষ্ট হয়েছে, ব্রীজ নির্মানের সম্ভাব্য স্থানে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে ব্রীজ নির্মানের অনুমোদন হয়েছে মর্মে সংবাদ জানিয়ে স্থানীয়দের নিয়ে দোয়ার অনুষ্ঠানও হয়েছে। কিন্তু সে গুলো ছিল আওয়াজ মাত্র। স্বাধীনতা উত্তর অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও গণমানুষের এ দুর্ভোগ লাঘবে আন্তরিকতার সাথে কেউ এগিয়ে আসেনি।বিগত দিনে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গকেও সম্ভাব্য ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করতে দেখা যায়। আশ্বাসের ক্ষেত্রে তারাও নেতাদের থেকে পিছিয়ে নেই। এখন আর এসব আশ্বাসে কেউ বিশ্বাস করতে চায়না।ভুক্তভুগী স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন খড়িয়া নদীর উপর ব্রীজ নির্মান হবে কবে ? এব্যাপারে আশু পদক্ষেপ গ্রহন করতে উপজেলা প্রাশন সহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের,সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্তা ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয়রা।