ফুলবাড়ীয়া পৌর বিএনপি’র আহবায়ক আব্দার আলীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি, দখল, মামলা বাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ফুলবাড়ীয়া পৌর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং অভিযোগের অনুলিপি প্রদর্শন মহাসচিবের দপ্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে, এজাহারনামা ভিত্তিতে উল্লেখ না করায় কোনরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি স্থানীয় নেতৃত্বরা। সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুলবাড়ীয়া পৌর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস ছফল, আহবায়ক শাহাবুদ্দিন মন্ডল, যুগ্ম আহবায়ক এমরান, ওমর ফারুক মন্ডল, মাদার মিয়া, মো. আনারুল হোসেনসহ ১২ নেতাকর্মী স্বাক্ষরিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আহবায়ক আব্দার আলী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে গোপনে আঁতাত করে দলের কার্যক্রম ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছেন। দলের দুঃসময়ে বিএনপি’র বহু ত্যাগী নেতাকর্মী মামলা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেছেন। অনেক নেতাকর্মী এখনও জেলহাজতে এবং অনেকেই এলাকা ছাড়া। অথচ তিনি আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে দলীয় কার্যক্রম থেকে সরে রয়েছেন এবং দল ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, তাদের নিয়ে শমসের বাহিনী গঠন, এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এ সমস্ত বিষয়ে পৌর চেয়ারম্যান থানা পুলিশের মাধ্যমে মীমাংসার প্রয়াস চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। দলের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ ও বিএনপি কর্মীদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে করে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা বিএনপি’র সুনাম নষ্ট হচ্ছে এবং সংগঠনের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য জেলা কমিটির জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আহবায়ক আব্দার আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটি মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কখনও বিএনপি ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করিনি। আমি দলের জন্য অতীতে যেমন কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাব। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।