আজ সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে ঘূর্নিঝড়ে রুপ নেবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সেই গভীর নিম্নচাপটি। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য চট্রগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর সহ উপকূলীয় সকল নৌ-বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরার ট্রলারকে গভীর সাগরে না গিয়ে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি প্রতি মুহুর্তে শক্তি বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের উপকুলের দিকে এগুচ্ছে। বর্তমানে এটি ৫০ কিলোমিটার বেগের অধিক ঝড়ো হাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ১৫০০ কি.মি. দূরে অবস্থান করছে। চলমান তাপপ্রবাহের কারনে ঘূর্নিঝরটি ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে বলে ধারনা করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
দিক পরিবর্তন না হলে আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে রাত কিংবা ভোরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে মোখা। এরই মাঝে ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে সরকার। উপকূলীয় জেলা গুলোর সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে নিজ নিজ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্নিঝড়ের প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়। সেখানে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন "আমরা সবদিক থেকেই প্রস্তুত আছি প্রতিবারের মত ইনশাল্লাহ এইবারও আমরা ঘূর্নিঝড় মোকাবিলা করবো। আমাদের সেনা, নৌ ও কোষ্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরো জানান কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবার এবং নগদ ২০ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও সর্বাত্মক প্রস্তুতির কথাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এদিকে ঘূর্নিঝড় মোখায় ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশংকায় ক্ষেতের পাকা ফসল দ্রুততম সময়ের মধ্যে কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে আগামি ২০ মে থেকে ৬৫ দিনের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়েও গভীর সমুদ্রে অনেক জেলেরা অবস্থান করছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে জান-মালের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ঘূর্নিঝরটির সুপাইর সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা ও রাত থেকে ভোরের মধ্যে উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনায় প্রচুর ক্ষয়-ক্ষতি এবং ভয়াবহ জলোচ্ছাসের আশংকা করছেন দেশ-বিদেশের আবহাওয়াবিদরা।