সে লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের ৮০ শতাংশ জমিতে বরই ও পেয়ারা মিশ্র চাষ শুরু করে। নাজমুল জানান, তার জমিতে ৭০০ টি বরই এবং ৮০০ টি পেয়ারা গাছ রয়েছে। মিশ্র চাষ শুরু করতে মাঠ তৈরি ও চারা গাছ কিনতে ৬০-৭০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে, এবং প্রতি বছরে ৫-৬ লক্ষ টাকার মত আয় হয়। তিনি আরো বলেন বছরে প্রায় ৩-৪ মাস বরই থাকে এবং বাকি সময়টাতে পেয়ারা থাকে।
২ টি বরই গাছের মাঝে ১ টি করে পেয়ারা গাছ রয়েছে,পেয়ারা প্রায় সবসময় থাকায় কোন সমস্যা হয়না কিন্তু বরইয়ের সময় পেয়ারার ডাল ছাটাই করে দিতে হয় এতে বরইয়ের ফলন ভালো হয়। এই তরুণ উদ্যোক্তা জানান, তার জমিতে বল সুন্দরী, কাশ্মরী বরই এবং থাই সেভেন জাতের পেয়ারার গাছ রয়েছে। তার এই সফলতা দেখে আশে পাশের অনেকেই এই মিশ্র ফল চাষ শুরু করেছেন। নাজমুল হক বলেন মিশ্র ফল চাষের শুরুতেই চারা কিনতে টাকা খরচ হয়, এই চাষে পরিশ্রম কম এবং অল্প পুজিতে বেশি লাভবান হওয়া যায়। স্থানীয় ব্যাবসায়ী ছাড়াও ঢাকা থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসব বাগান থেকে ফল কিনতে আসেন।
বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দামে বিক্রি করা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ সারমিন আক্তার বলেন, মিশ্র ফলের চাষের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে দেশীয় ফলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। জমিতে মিশ্র ফল চাষের মাধ্যমে কৃষকেরা অল্প খরচে লাভবান হচ্ছেন এবং সেখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়াই বেকারত্ব দূর হয়ে কৃষকগণ সাবলম্বী হচ্ছেন।