চুক্তিটি পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের স্বতন্ত্র জাতিসত্তা এবং বিশেষ মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেয় এবং পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে। পরিষদটি চাকমা,মারমা, ত্রিপুরা, মুরাং এবং তঞ্চঙ্গ্যা উপজাতির পুরুষ ও মহিলাদের দ্বারা গঠিত হবে; প্রতিনিধিরা পার্বত্য অঞ্চলের জেলা পরিষদ দ্বারা নির্বাচিত হবেন। পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত, কাউন্সিলের আইন-শৃঙ্খলা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং উপজাতীয় আইন বজায় রাখার, সাধারণ প্রশাসনের তত্ত্বাবধান, দুর্যোগ ত্রাণ ও ব্যবস্থাপনার সমন্বয়, ভারী শিল্পের জন্য লাইসেন্স প্রদান এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের তত্ত্বাবধানের কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব থাকবে।কেন্দ্রীয় সরকারকে পার্বত্য অঞ্চল সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে আঞ্চলিক পরিষদের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
চুক্তিতে পার্বত্য অঞ্চল সম্পর্কিত বিষয়গুলি পরিচালনার জন্য উপজাতীয় জাতিসত্তার একজন ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থাপনেরও বিধান করা হয়েছে। চুক্তিতে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের জমি ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা এবং পার্বত্য অঞ্চলে একটি বিস্তৃত ভূমি জরিপ অনুষ্ঠিত হবে। চুক্তিটি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগণ ও উপজাতিদের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান করে এবং শান্তিবাহিনী ও সরকারের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা বিদ্রোহের অবসান ঘটায়। পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৫ বছর পূর্তিতে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় দিবসটি উদযাপন করেছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ হতে বিকাল তিনটায় বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিটি কর্পোরেশনের সম্মুখে এসে শেষ হয়। র্যালীতে বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীর উপস্থিতি দেশব্যাপী বিএনপি জোটের ধারাবাহিক কর্মসূচীকে রাজনৈতিকভাবে মোবাবেলার প্রস্তুতির অংশ বলে ধারনা করা হচ্ছে।
র্যালী পূর্ব সমাবেশে জেলা ও মহানগেরর নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় আগামী সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্র্থীকে বিজয়ী করতে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এখানে উল্লেখ্য চুক্তিটির রূপকার আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পিতা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডঃ একেএম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড: ছাদেকুল আরেফিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।