রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা মার্কেটের পিছনে কাজীপাড়ার ভাড়া বাসায় মোছাঃ বর্ষা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে। সে বসুন্ধরা শপিংমলে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিল। গৃহবধূর পরিবারের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বর্ষা গাজীপুর সদরের কাশিমপুর বারান্ডা এলাকার মোঃ দুলাল ফকিরের মেয়ে। বর্তমানে স্বামীর সাথে বসুন্ধরা শপিংমলের পিছনে ১৬ নং কাজীপাড়ায় ভাড়া থাকতো। গত শনিবার (সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী কাজল মিয়া জানান আমরা স্বামী স্ত্রী উভয়েই বসুন্ধরা শপিংমলে কাজ করি। আমি একটি দোকানে কাজ করি আর আমার স্ত্রী বর্ষা বসুন্ধরা শপিংমলের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতো। আজ আমাদের দুজনের পারিবারিক বিষয় নিযয় কথা কাটাকাটি হলে আমি কর্ম ক্ষেত্রে চলে যাই। পরে বাসায় ফিরে দেখি ঘরের দরজা ভেড়ানো। ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতেই দেখি গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে বর্ষা। পরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে নিহতের বড় বোন শান্তা বেগম অভিযোগ করে বলেন আমার ছোট বোন বর্ষা কিছুতেই আত্মহত্যার মতো জঘন্য কাজটি করতে পারেনা। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। প্রায় দুই বছর আগে নিজেদের পছন্দে বিয়ে করে বর্ষা।
বিয়ের ৬-৭ মাস পর থেকেই বর্ষার স্বামী কাজল প্রায়ই আমার বোনকে মারধর করত। বর্ষা আমাদেরকে প্রায়ই মোবাইল ফোনে এই ঘটনাগুলি বলতো। কয়েকদিন আগেও বর্ষা আমাকে বলেছে আপু তোমাদের জামাই সরকারি চাকরি করতে চায়। এইজন্য নাকি তার টাকা লাগবে। তাই সে প্রায়ই আমাকে মারধর করে। পরিবারে ছোট কিছু ভুলভ্রান্তি হলেও সে আমাকে মারধর করে। শান্তা বেগম আত্মবিলাপ করে বারবার বলছিল ভাই আমি আমার বোনের হত্যার বিচার চাই। আমার বোন কিছুতেই এই কাজটি করতে পারেনা। ওর স্বামী ওকে মেরে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বর্ষার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মৃত বর্ষার স্বামী কাজলের অগোছালো কথায় আমাদের সন্দেহ হলে তাকে আমরা আমাদের পুলিশ ক্যাম্পে হেফাজতে রাখি। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।আমরা পুরো বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।