বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁশখালীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর শাতিলের সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে অফিসার্স ক্লাবে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলমের সভাপতিত্ব ও পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর শাতিল উপস্থিত স্টেক হোল্ডারদের মতামত শুনেন এবং প্রশ্নের জবাব দেন।
এতে বক্তব্য রাখেন, পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীন, সাধনপুর ইউপি কে এম সালাউদ্দিন কামাল, খানখানাবাদ ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, কালীপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম, চাম্বল ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ, শীলকূপ ইউপির ভারপ্রাপ্ত রাশেদ নুরী, কাথরিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাদশা, ছনুয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ছানুবী, ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসাইন সাইদী, মোহাম্মদ তানজিম, আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ জিসান, শহিদুল ইসলাম জায়েদ, মোহাম্মদ রিয়াদ, রাকিব হোসেন, বাঁশখালী প্রেসক্লাব সভাপতি শফকত হোসাইন চাটগামী, সিনিয়র সহ সভাপতি মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ ছানুবী, সহ সভাপতি শাহ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ, দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ এরশাদ, কোষাধ্যক্ষ দিদার হোসাইন প্রমুখ। এসময় ছাত্র প্রতিনিধিরা অপারেশন ডেভিল হান্টকে সামনে রেখে বাঁশখালীতে প্রশাসনের আশানুরূপ রেজাল্ট দেখা যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজসহ আওয়ামী লীগের চিন্হিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করে বলা হয় গ্রেপ্তার অভিযান চলমান আছে, এটাকে আরো জোরদার করা হবে। তাছাড়া মতবিনিময় সভায় বালু উত্তোলন, মাটিকাটা, দলীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা উঠে আসে। অনুষ্ঠানে বক্তাদের আলোচনার ভিত্তিতে অন্যান্য উপজেলার মত বাঁশখালীতেও ভূয়া ও অপ-সাংবাদিকতা বেড়ে গেছে মন্তব্য করে তাদের লাগাম টানা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে প্রেসক্লাবের কাছে সাংবাদিকদের তালিকা চান। এসময় প্রেসক্লাব সভাপতি শফকত হোসাইন চাটগামী দ্রুত সময়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বাঁশখালীতে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। একই সাথে সমন্বয়ক নাম দিয়ে কেউ যাতে ফায়দা হাসিল করতে না পারে সেজন্য প্রকৃত সমন্বয়কদের তালিকা এবং তথ্য প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে সরবরাহ করতেও ছাত্র প্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানানো হয়। এসময় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার জহিরুলসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর বাঁশখালীর আইনশৃঙ্খলা তুলনামূলক ভাল থাকায় সেনাবাহিনী, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, সবার অংশ গ্রহণে বাঁশখালীর আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক বিষয় শান্তিপূর্ণ রাখা সম্ভব হয়েছে।