পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতনের ফলে ঘর-বাড়ি ছেড়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন হাসপাতালে

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতনের ফলে ঘর-বাড়ি ছেড়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন হাসপাতালে।  মারধরের পর মামলা করায় একদিন পর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিম্মি করে হামলাকারী জসিম পঞ্চায়েতের(৪৫) নেতৃত্বে ৫/৬জনের একটি দল। এসময় আইনি সহায়তা চাইলে এএসআই শাহীন উল্টো ১০হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। অবশেষে ভোর রাতে সেহেরী না খেয়ে পিছনের দড়জা দিয়ে পালিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশ্রয় নিয়েছেন ওই পরিবারের ৩শিশুসহ ৭জন। এঘটনায় পরিবারের অপর ২ সদস্য পলাতক রয়েছেন। এমন ঘটনা উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের আয়নাবাজ কালাইয়া গ্রামে। 
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানাগেছে, জমি সংক্রন্ত বিরোধের জেরে কালাইয়া ইউনিয়নের আয়নাবাজ কালাইয়া গ্রামের মঞ্জুর রহমানের সাথে একই বাড়ির জসিম পঞ্চায়েতের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ১৯ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জসিম পঞ্চায়েতের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল মঞ্জুর পঞ্চায়েতের উপর হামলা চালায়। এঘটনায় মঞ্জুর পঞ্চায়েতের ছেলে আনোয়ার বাদি হয়ে একই দিন বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করার সময় এএসআই শাহীন তার কাছে ২হাজার টাকা দাবি করলে তা 
পরিশোধ করেন। পরে ঘটনার তদন্তে যান শাহীন। তদন্ত শেষে ফিরে এসে দ্বিতিয় দফায় আবার ১৫শত টাকা দাবি করেন শাহীন সে টাকাও পরিশোধ করেছেন বলেও জানিয়েছেন মঞ্জু। থানায় অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২১ মার্চ সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় মঞ্জুর বসতঘরে হামলা করেন প্রতিপক্ষ মালেক ও জসিম পঞ্চায়েত। এসময় ১৫ মাসের এক শিশু রাবেয়া (১৫মাস) আঘাতপ্রাপ্ত হন। অবরুদ্ধ হয়ে পরেন মঞ্জুরের পরিবারের বাকি সদস্যরা। ২য় দফা হামলার ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই শাহিনকে ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে তিনি ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে উল্টো ১০হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
অবশেষে ভোর রাতের দিকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পিছনের দড়জা দিয়ে পালিয়ে আহত অবস্থায় শিশু রাবেয়াকে নিয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশ্রয় নেন। গত প্রায় ৫দিন যাবৎ কোন আইনী সহায়তা না পেয়ে মানবেতর ভাবে হাসপাতালে অবস্থান করছেন। 
এবিষয়ে অভিযুক্ত জসিম বলেন, সে আমার ঘরের সামনে মুরগীর বাসা তৈরি করেছেন যা দুর্ঘন্ধ ছড়াচ্ছে। আমি তাকে হটাতে বললেও তিনি হটাননি। 
থানায় এএসআই শাহিনের মুঠোফোনে জানান, বিষটি আমি তদন্ত করেছি। টাকা নেয়ার বিষটি সত্য নয়। বিষটি নিয়ে শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা হওয়ার কথা। কিন্তু মঞ্জুর পঞ্চায়েত রাজি না হওয়ায় তারিখ পিছিয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘পারিবারিক কাজে তিনি ঢাকায় আছেন। অভিযোগের বিষয় না জেনে কিছুই বলতে পারছেন না। আগামী কাল থানায় পৌঁছে বিষয়টা খতিয়ে দেখবেন বলেনও জানান তিনি।