জানা গেছে, ছোট ডালিমা গ্রামের ফারুক মুন্সীর সাথে তার সহোদর সামছুল হক মুন্সী জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন সকালে ফারুক মুন্সীর নিজ বসতঘর থেকে বের হলে সামছুল হক মুন্সীর বড় ছেলে জাকির (৪২), জসিম(৩০) ও মামাতো ভাই হাসান(২৩)সহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী ওৎপেতে থেকে চাচা ফারুক মুন্সীকে পিটিয়ে আহত করে। ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা আহত ফারুক মুন্সীকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করে।

বাউফলে পূর্ব শত্রুতার জেরে বড় চাচাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ভাতিজা কথিত মাওলানা জাকির। রবিবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছোট ডালিমা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ধর্মীয় লেবাসধারী এই কথিত আলেম জাকিরের এমন অপকর্মে উপজেলাজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। মাওলানা ও মুফতি দাবি করা জাকিরের হাতে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ চাচাকে মেরে হাসপাতালে পাঠানোকে জঘন্য অপরাধ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ।

জানা গেছে, ছোট ডালিমা গ্রামের ফারুক মুন্সীর সাথে তার সহোদর সামছুল হক মুন্সী জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন সকালে ফারুক মুন্সীর নিজ বসতঘর থেকে বের হলে সামছুল হক মুন্সীর বড় ছেলে জাকির (৪২), জসিম(৩০) ও মামাতো ভাই হাসান(২৩)সহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী ওৎপেতে থেকে চাচা ফারুক মুন্সীকে পিটিয়ে আহত করে। ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা আহত ফারুক মুন্সীকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় হামলাকারী আটজনকে আসামী করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ফারুক মুন্সি । এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গাইন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। তাই সচেতন মহলের দাবীা অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। তানা হলে আইনের শাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে।

সূত্রমতে, বৃদ্ধচাচাকে মেরে হাসপাতালে পাঠানোর ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কথিত আলেম নিজেকে মুফতি ও মাওলানা দাবী করা জাকির হুসাইন। তার মুফতি সনদ নিয়ে আছে জনমনে সন্দেহ। কথিত এই আলেম চেয়ারম্যান বাড়ি বায়তুল মামূর জামে মসজিদ ঢাকার ইমাম ও খতিব হিসেবে নিজেকে প্রচার করছেন। তবে তার চারিত্রিক নানান নেতিবাচক দিক থাকায় নিজের এলাকার মসজিদে জাকিরের পেছনে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ নামাজও পড়তে চায় না বলে জানা গেছে।

কথিত লেবাসধারী এই আলেমের ফোনে একাধিক অশ্লিল ভিডিও ও পর্ণ ছবি দেখেছেন এমন একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হাফেজ, মুফতি ও মাওলানা দাবী করা মানুষটির ফোনে এসব দেখে তার প্রতি শ্রদ্ধা কমে গেছে। মূলত: ধর্মের সাইনবোর্ড টানিয়ে তিনি জীবীকা নির্বাহ করেন। তিনি আদর্শ মাওলানা হলে কখনোই নিজের ফোনে এসব খারাপ ভিডিও ও ছবি রাখতেন না। এছাড়া তার বেয়াদবি ও উগ্রতার কারণে এলাকার মানুষও তাকে পছন্দ করেন না।

বিভিন্ন টেলিভিশনের ইসলামী আলোচক হিসেবে নিজেকে জাহির করলেও জাকির কোনো টিভিরই নিয়মিত আলোচক নন বলে জানা গেছে। কথিত আলেম জাকির সম্পর্কে তার নিজের এলাকার মানুষদের বক্তব্য হচ্ছে নেতিবাচক, তারা বলছেন- জাকির জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকতে পারে। কেননা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ওয়াজ করেন জাকির । এমতবস্থায় প্রশাসনের উচিত বৃদ্ধ চাচাকে আক্রমণ করা কথিত এই আলেমের জঙ্গি সম্পৃক্ততাও খতিয়ে দেখে আইনানুগ বিচার করা।

সচেতন নাগরিকরা বলছেন, একজন ৭৫ বছরের বৃদ্ধকে একা পেয়ে আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগের মতো নির্মম নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। নিনন্দা জানিয়ে তারা বলেন, অবিলম্বে আক্রমণকারী কথিত ভন্ড লেবাসধারী মাওলানা জাকিরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনারও দাবী জানানো হয়।