কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের শিমুল মিয়া ও কাদির মিয়ার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী দুই জন। তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন 
আমি শিমুল মিয়া আমার সাথে আছে প্রতিবেশী আব্দুল কাদির।
গত ৫ আগস্ট অনিবন্ধিত ভুঁইফোর একটি ওয়েবসাইট থেকে আমি ও আমার প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের নামে অপসংবাদ ছাপানো হয়েছে। 

মূলত যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তার কোনো সত্যতা নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে আমরা মনে করছি। আমাদের সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার জন্য এমনটা করা হয়েছে। 
বিদেশে চাকুরির প্রলোভনে মরুভূমিতে নির্যাতন ও প্রতারক চক্র বলে আমাদের সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বলা হয়েছে সংঘবদ্ধ প্রতারক,আসলে এগুলো শুনার পর আমরা রীতিমতো বাকরুদ্ধ। কিভাবে মিথ্যাচার করতে পারে তার সর্বোচ্চ নিদর্শন হচ্ছে এই অপসংবাদটি। 
অপসংবাদে লিটন নামে যে ব্যক্তিকে বলা হয়েছে সে বিদেশে আছে এবং ভালো আছে শুনতে পেয়েছি। সে নিয়মিত বেতন পাচ্ছে। তাকে কেউ কোথাও নির্যাতন করেনি এমন তথ্য আমরা নিশ্চিত হয়েছি। 
বরংচ সে বিদেশে ফ্রি ভিসায় গিয়ে আজ থেকে দুই বছর আগে আমি শিমুলের কাছে তিন মাস ছিলো। আমি তার সমস্ত খরচ থাকা খাওয়া বহন করেছি। সে আমার প্রতিবেশীর মামাতো ভাই বিধায় কাদেরের অনুরোধে আমি তাকে সরল বিশ্বাসে সহযোগিতা করি। পরে সে অন্য একটি কোম্পানীতে কাজ করে ভালো বেতন পায়। এখনো সে ভালো বেতন পেয়ে ভালো আছে। আপনারা খবর নিয়ে দেখতে পারেন। 
আমি ও আমার প্রতিবেশী কখনো তার কাছ থেকে টাকা পয়সা নেইনি। নির্যাতন করারতো প্রশ্নই উঠে না। নির্যাতন করলে সে তাৎক্ষণিক পুলিশে অভিযোগ দেয়নি কেনো? বিদেশে আমি তাকে নির্যাতন করবো এটা হাস্যকর বিষয়। বরংচ আমার কাছে সে প্রথম দিক দিয়ে তিন মাস ছিলো তার খরচ বাবদ আমি অনেক টাকা পাই। এই টাকাটা চাইতে গেলেই টাকা না দিয়ে উল্টো নাটক সাজিয়ে অভিযোগ তুলে। 

এছাড়া শিপু ভাইয়ের উদ্যোগে শালিসের বিষয়টি যেটা অপসংবাদে উল্লেখ করেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাদেরকে কোনো সালিশে বলাই হয়নি। মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই। 

এছাড়া অপসংবাদে এই হলুদ সাংবাদিক স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে বলেছে আমরা নাকি চক্র। হাস্যকর ব্যাপার। আমরা নাকি সাধারণ মানুষকে বিদেশ নেওয়ার নামে প্রতারণা করি! হাস্যকর বিষয়। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে সত্যতা যাছাই করতে পারেন। আমরা যদি এ অপরাধের সাথে জড়িত হই তাহলে আমাদের শাস্তি হবে। এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ইজ্জত ও স্ট্যাটাস নষ্ট করার জন্য এবং আমার পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য এ মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়েছে। আমি এই অপপ্রচার ও অপসাংবাদিকতা, হলুদ সাংবাদিকতার বিচার চাই। 
এই হলুদ সাংবাদিক আওয়ামী দোসর। সে লোক মারফত আমার কাছে টাকা চেয়েছিলো। টাকা দিলে এটা লিখবে না বলেও লোক মারফত জানিয়েছিলো। সে এভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে। এমন অনেক তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। 
তথাকথিত সাজানো ভুক্তভোগী লিটনের সাথে যে আজিজুল হক বিদেশ গিয়েছিলো, একসাথে থাকতো তার সাথে কথা বলে দেখেনে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না!

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা সত্যটা লিখবেন। যাছাই করবেন। 
আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার ও সুষ্ঠু প্রতিকার চাই।