নাটোর সদর উপজেলার ০২নং তেবাড়িয়া ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে

নাটোর সদর উপজেলার ০২নং তেবাড়িয়া ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পর্কের জেরে ৪০ বছর বয়সী সূর্য বানু এবং ৪৫ বছর বয়সী চিরকুমার খ্যাত যুবলীগ নেতা মোঃ বাজের আলীকে স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করে তাৎক্ষণিকভাবে ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। এই ঘটনায় একদিকে যেমন বাজের আলীর দীর্ঘদিনের কুমার জীবনের অবসান ঘটেছে, তেমনি অন্যদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষ এই অপ্রত্যাশিত পরিণতিতে আনন্দিত।
জানা যায়, সূর্য বানু এবং বাজের আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি এলাকায় কানাঘুষো হলেও এতদিন তা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে গতরাতে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা সূর্য বানুর ঘরে বাজের আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং উভয়পক্ষের সম্মতিতে তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপস্থিত সকলের সম্মতিতে রাতেই ৪ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় একদিকে যেমন বাজের আলীর এতদিন ধরে বয়ে বেড়ানো চিরকুমারের তকমা ঘুচে গেল, তেমনি গ্রামের মানুষও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সম্পর্কের একটি সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, "আমরা অনেক দিন ধরে শুনে আসছিলাম তাদের সম্পর্কের কথা। কিন্তু বাজের আলী বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। অবশেষে যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে। আমরা খুশি যে তাদের একটি সম্মানজনক পরিণতি হয়েছে।"

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের যুবদল নেতা মোঃ রিপন বলেন, "বাসের ভাই দীর্ঘদিন ধরে চিরকুমার ছিলেন। আমরা আশা করছিলাম তিনি একদিন বিবাহ করে একটি সুখী সংসার করবেন। যাই হোক, অবশেষে তাদের বিয়ে হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগছে। আমরা তাদের সুখী জীবন কামনা করি।"
এই ঘটনা বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। একদিকে যেমন দীর্ঘদিনের একটি সম্পর্কের অপ্রত্যাশিত পরিণতি ঘটলো, তেমনি অন্যদিকে একজন চিরকুমারের নতুন জীবন শুরু হলো। স্থানীয়রা এখন নবদম্পতির সুখী জীবনের জন্য দোয়া করছেন। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো যে, সামাজিক প্রেক্ষাপটে সম্পর্কের স্বীকৃতি এবং সম্মানজনক সমাধান কতটা গুরুত্বপূর্ণ।