ব্রহ্মপুত্র নদে বালাসী থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণের দাবিতে শনিবার গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদে টানেল নির্মাণ বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটি, গাইবান্ধা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ব্রহ্মপুত্র নদে বালাসী থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণের দাবিতে শনিবার গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রহ্মপুত্র নদে টানেল নির্মাণ বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটি, গাইবান্ধা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাড. আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অ্যাড. মোস্তফা মনিরুজ্জামান, মনজুর আলম মিঠু, গোলাম রব্বানী, মো. ইলিয়াস হোসেন, আতোয়ার রহমান, তাজুল ইসলাম বকুল, হাফিজার রহমান, রেজাইউলকরিম, অ্যাড. ফরহাদ হোসেন, অ্যাড. ইমরান, অ্যাড. সালমান মাহমুদ নয়ন, মিজানুর রাহমান মাষ্টার, আব্দুল হালিম, নাদিম হোসেন, মো. ফরহাদ মিয়া, জিন্নু মিয়া প্রমুখ।

সাধারণ সভাটি পরিচালনা করেন কমিটির সাধারণ স¤পাদক জে এইচ মুজকুরি অনু। বক্তারা বলেন, জামালপুর জেলার সহিত গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা একমাত্র টানেল নির্মাণের মাধ্যমেই সম্ভব। টানেল নির্মাণের মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে জেলায় শিল্প কলকারখানা ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। টানেল নির্মাণকালে নদী শাসনের মাধ্যমে চরাঞ্চলের ব্যাপক অনাবাদি জমি কৃষি জমিতে পরিণত হবে। বন্যার হাত থেকে এলাকাবাসী স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে। রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারি, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট সহ জামালপুর জেলার টানেল নির্মাণের মাধ্যমে হিলি স্থহলবন্দর, সোনাহাট স্থল বন্দর, চিলাহাট স্থল বন্দর, সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলার মত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে ও পণ্য পরিবহন খরচ কম হবে। গাইবান্ধা জেলা উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলির মধ্যে গেট ওয়ে শহরে পরিণত হবে। টানেল নির্মাণের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের শিল্প ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ সম্ভব হবে।