যানজট ও জনভোগান্তি নিরসনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকায় হবিরবাড়ী ইউনিয়নের অন্তর্গত সিষ্টোর বাজার, জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে উ/চ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। 

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে দিনভর উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (ইউএনও)  হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ইকবাল হোসেন এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়  ভালুকা মডেল থানা,ভরাডোবা হাইওয়ে থানা পুলিশ,সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা এই অভিযানে সহযোগীতা করেন। 

 ভালুকা উপজেলা প্রশাসন সুত্র জানিয়েছে-
এসময়  বাজারে সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এর সার্বিক সহযোগীতায় পরিচালিত  অভিযানে মহা সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। 

ভালুকা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে ভেঙে ফেলা হয় সড়কের জায়গা দখল করে নির্মিত বিভিন্ন মার্কেট, পাকা ভবন ও ভাসমান দোকানপাট। দখলমুক্ত করা হয় ফুটপাত ও যান চলাচলের রাস্তা।

সওজ কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব স্থাপনা মহাসড়কের জায়গা দখল করে রাখায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছিল। এতে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছিল।

প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা জানান, এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ  মহাসড়কের নিত্য যানজট অনেকটাই কমবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে পুনরায় দখল যেন না হয়, সে ব্যাপারেও নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান-ঢাকা-ময়মনসিংহ  মহাসড়কের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া মাষ্টারবাড়ী বাসষ্টেন্ড এলাকায়  মোড়ে অবৈধ স্থাপনাগুলোর কারণে প্রতিনিয়ত যানজট ও জনভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। এর ফলে মানুষের চলাচল  নির্বিঘ্ন করতে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদে যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে স্থায়ী ও বিভিন্ন পণ্যের অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সৃষ্ট খানাখন্দগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে মহাসড়কের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তিনি আরো জানান-মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে যানজট ও ভোগান্তি  নিরসনে  মহাসড়কের পাশে স্থাপিত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানের ফলে যে সব ব্যবসাায়ীরা বেকার হয়ে পড়ছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরো জানায়- এই উচ্ছেদকে দীর্ঘস্থায়ী এবং কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সেগুলো হলো-১। সাথে সাথেই ১০ ফিট চওড়া বাইপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। যার কাজ চলমান, যাতে এই জায়গাগুলো বেহাত না হয় এবং রাস্তার পাশে  বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। ২। পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসবো। ৩। তাদের জন্য রাস্তার পাশেই একটি খোলা মাঠ আছে যেখানে তারা খুব সহজে পুনর্বাসিত হতে পারেন। জায়গার মালিক ইতোমধ্যে সম্মতি প্রদান করেছেন। তাই কেউ কর্মহীন হয়েছেন বললে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ৪। আর সব থেকে বড় বিষয় মাথায় গেঁথে নিতে হবে মহাসড়কের পাশে বাজার নয়। 

 তিনি ভালুকাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে    বলেন- আলোচনা ছিলো উচ্ছেদ অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করা হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তা কেউই করে নি বরং সকলেই সহযোগিতা করেছেন। এমন কি অনেকে আমার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে পানি কিনে এনে খেতে দিয়েছেন। আমি জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ীর জনসাধারণের কাছে কৃতজ্ঞ। একইভাবে সীডস্টোর বাজারেও সকলে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে বিশ্বাস করি।