বহুল প্রতীক্ষিত মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধনে আশার আলো সঞ্চার করলেও হতাশারও কমতি নেই চিলমারী, কুড়িগ্রাম জেলা ও সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার মানুষের মাঝে।

 গত ২০ আগষ্ট সেতু উদ্বোধন করা হলো, কিন্তুু চিলমারী অংশের রাস্তার অসমাপ্ত কাজ রেখেই। রাস্তা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী, বৃষ্টি হলেই ভোগান্তির শেষ  নেই। যানজট লেগেই আছে চিলমারী কলেজ মোর থেকে বেলেরভিটা খন্দকার মোর পর্যন্ত খানাখন্দ ও সরু রাস্তা  (প্রায়  ২ কিলোমিটার) এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার আলী জানান, "সেতুটি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে ; সেতুর সাথে সংযোগ সড়কের কোন সম্পর্ক নেই। চিলমারী অংশের ৫,২৩০ মিটার রাস্তার মধ্যে ২,১৫০ মিটার রাস্তার কার্পেটিং শেষ হয়েছে। বাকি ২,৬৫০ মিটার রাস্তা কার্পেটিংয়ের জন্য প্রস্তত রয়েছে এবং ৭০০ মিটার রাস্তার দুটি স্থানে জমির সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধান হলে বাকি রাস্তার কাজ করা হবে।" হরিপুর-চিলমারী ১,৪৯০ মিটার দীর্ঘ মাওলানা ভাসানী সেতু।  ইতিমধ্যে গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ হইতে চিলমারী, কুড়িগ্রামে সেতু বন্ধন ভাসানী সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়ে গেছে। উভয় পাড়ের মানুষ মারাত্মক ঝুঁকি ও ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতেছে। সেতু উদ্ভোধনের একদিন পরই ল্যাম্পপোষ্টের বাতি নিভে যায় সন্ধা হলেই অন্ধকারাছন্ন হয়ে পড়েছে সেতুসহ পুরো এলাকা। সেতু কর্তৃপক্ষ এখনো সেতুটিতে আলো জ্বলাতে পারেনি। কারন হিসেবে জানা গেছে সেতুর ৩০০ ফুট বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়ে গেছে। উভয় জেলার  মানুষেরা যাতায়াতে মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, পায়ে হেঁটেও রাত-দিন চলাফেরা করতেছে। মালবাহী যানবাহন মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতেছে ঝুঁকি নিয়ে।  অন্ধকারাছন্ন সেতু যেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে। নৌপথেও অরক্ষিত।  চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই  এর ঝুঁকি নিয়ে  যানবহনের যাত্রী তথা সর্বসাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক নিয়ে  যাতায়াত করতেছে। এলাকাবাসী জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেতুটির ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো এবং নিরাপত্তা জন্য আইন-শৃঙ্খলা  বাহিনীকে নিয়োজিত করা জরুরী। তা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে।