সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায় ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক পক্ষের মামলা দায়েরের পর দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে গ্রেফতারের পর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন বাদীপক্ষের লোকদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আসামী পক্ষের লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও (ফেসবুক) অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে নিজ আইডি থেকে পোষ্ট করছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ২৫ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের উলুতুলু গ্রামে সংঘর্ষ হয়। এতে আহতরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরবর্তিতে রহিমুন নেছা বেগম বাদী হয়ে গত (২৭মার্চ) সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ( সদর উপজেলা) ৭ জনের নামে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা করেন (মামলা নং সিআর— ২৮৫)। পরে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম মূল বাদীর দাখিলকৃত কোর্ট পিটিশন সিআর মামলা নং—২৮৫, আদালতের স্বারক নং—৪৭১ তাং—২৭/০৩/২৫ ইং মূলে প্রাপ্ত হইয়া সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা— নং —৬ তাং—০৬/০৪/২৫ ইং — ধারা —১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৪৪৭/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড,রুজু করেন। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. শাহজাহান (২৯) এবং মৃত আব্দুল মুসাব্বির এর ছেলে সাজিদুল ইসলাম (৬০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাদী পক্ষের মো. নবী হোসেন জানান, পারিবারিক জমিজমা ভোগ দখল ও বাড়ীর বিবিধ বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে গত ২৫ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমিরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে আসামীরা মিলিত হয়ে উলুতুলু গ্রামের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এতে বাধা—নিষেধ করলে আসামীগণ তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রুমান আহমেদকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আঘাত করে এতে রুমান আহমেদ এর ভাই নবী হোসেন আহত হয়। এঘটনায় রহিমুন নেছা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় মৃত লাল মিয়ার ছেলে মাফিকুল ইসলাম (৪৫), ইসলাম উদ্দিন (৩৫) , মৃত আব্দুল মুসাব্বির এর ছেলে হাদিবুল ইসলাম (৩৬), সাইদুল ইসলাম (৪০),আমিরুল ইসলাম এর ছেলে শাহজাহান মিয়া (২৯),আব্দুল ওয়াদুদ (৩৮) এবং আব্দুল মতলিব এর ছেলে রফিকুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে আসামী পক্ষের আবদুল ওয়াদুদ মেম্বার বলেন বলেন,
এ বিষয় আবদুল ওয়াদুদ মেম্বার বলেন,আসামীরা সবাই পলাতক। বাড়ী- ঘরে তারা নেই। বাদী পক্ষের লোকজন যে হুমকি ও প্রাণনাশের কথা বলছেন তা আদৌও সত্য নয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা,তবে আমি এ বিষয়ে আসামী পক্ষের সাথে কথা বলব।তিনি আরও বলেন, আমি কিছুই জানিনা,অথচ,আমাকেও আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন বলেন,' আমি সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম সাহেবকে বলে দেব বিষয়টি দেখার জন্য।