উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নে কাওয়ালীবিন্নী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
থানা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঞ্জু মিয়া পারিবারিকভাবে কাওয়ালীবিন্নী গ্রামে বসতঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে। মৃত আমীর উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর এর সাথে মঞ্জু মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়। এতে দু’পক্ষেরই সম্মতি ছিল। বৈঠকে মানলেও জাহাঙ্গীর তার বাড়ির সীমানায় নকশায় মঞ্জু মিয়ার বসত ঘরের বারিন্দা পর্যন্ত পায় বলে জাহাঙ্গীর দাবি করে। এ নিয়ে শুক্রবার জাহাঙ্গীর ও মঞ্জু মিয়ার মধ্যে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর তার দলবল নিয়ে মঞ্জু মিয়ার বসতঘরে হামলা চালিয়ে বসত ঘরটি ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এ সময় দেশীয় শাবল দিয়ে মঞ্জু মিয়ার বসত ঘরের সিড়িঁ ভাংচুর করে । এতে বাধাঁ দিলে মঞ্জু মিয়াকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। তার স্ত্রী কূহিনুর এগিয়ে গেলে তার কাপড় চোপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করে স্লিলতাহানী করে। পরে নিরুপায় হয়ে কূহিনুর আক্তার শুক্রবার বিকালে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সরজমিনে গেলে, মঞ্জু মিয়ার বসত ঘরের সিঁড়ি ভাঙার দৃশ্য পাওয়া যায়। তবে জাহাঙ্গীর প্রভাবশালী থাকায় গ্রামের লোকজন তার বিরুদ্ধে মুখ খোলতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর জানান, আমার জমির নকশায় মঞ্জু মিয়ার বসত ঘরের অর্ধেক পর্যন্ত আমি পাই। অন্যদিকে জমি দিলে তা আমি মানব না। তাই আমি নিজেই তার বসত ঘর ভেঙে আমার জমি আমি বুঝে নেব।
ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, কূহিনুর আক্তার নামে এক নারী শুক্রবার বিকালে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে।