চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) কর্মসূচি চালু করেছে।
মনপুরার ২ নং হাজীরহাট ইউনিয়ন এ অভিযোগ রয়েছে, স্বল্প আয়ের মানুষের সরকারি এ চাল খোলাবাজারে (ওএমএস) বিক্রি না করে তা কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন কিছু সরবরাহকারী (ডিলার)।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার গরিব ও দুস্থ মানুষের জন্য ওএমএস এর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করে। সেই চাল বিক্রি না করে অসাধু ব্যবসায়ীরা কালোবাজারে চাল বিক্রি করে আসছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল ) সকাল ১০ টা থেকে নৌবাহিনী মনপুরা উপজেলা ২ নং হাজীরহাট ইউনিয়ন এর হাজীরহাট বাজারে কয়েকটি গোডাউন গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় সেখানে সকাল ১১ টায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮১৫ কেজি চাল উদ্ধার করে।
এ সময় ওএমএস এর দুলাল ডিলার এর কর্মচারী রাজিব হায়দার কে আটক করা হয়।
নৌ - কমান্ডার জানায়, ও এম এস ডিলার দরিদ্রদের কাছে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি না করে সেই চাল কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দেন।
সাংবাদিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি না করে অধিক দামে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে এবং বস্তায় বস্তায় মানুষের কাছে গোপনে বিক্রি করছেন দুলাল ডিলার ও তার প্রতিনিধি রাজিব হায়দার ।
প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, কোটি কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়ে সরকার যে ওএমএস চালু রেখেছে তার সুফল গরিব মানুষ না পেলেও পেয়ে যাচ্ছে ও এম এস এর ডিলার রা ও তার প্রতিনিধি'রা।
চাল কেলেঙ্কারির নিউজ প্রকাশ না করার জন্য ওএমএস এর ডিলার দুলাল এর ছেলে শরিফ মুঠোফোন এ সাংবাদিক দের কল দিয়ে টাকার অফার করে। টাকা নিতে সাংবাদিক অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন নেতা কর্মী দিয়ে কল দিয়ে চাল কেলেঙ্কারির বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেন ।