সম্প্রতি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গাবলারবিলে অপরিকল্পিত রিং কালভার্টের কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে কৃষকদের নাভিশ্বাস উঠেছে।

সম্প্রতি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গাবলারবিলে অপরিকল্পিত রিং কালভার্টের কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে কৃষকদের নাভিশ্বাস উঠেছে। কয়েক হাজার বিঘা জমির ফসল  অনিশ্চয়তার মুখে। এবিষয়ে বহুল প্রচারিত মর্নিং পোষ্ট অনলাইলে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান বিল এলাকা পরিদর্শন করেন।

মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকালে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজধরপুর বিলপাড়া গাবলারবিল ও গজারিয়া খাল এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা এলজিইডি'র সাব এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

রাজধরপুর গাবলার বিলের চারপাশে বৃত্তাকারে রয়েছে বহরপুর-বওনারা সড়ক, হলুদবারিয়া-রাজধরপুর সড়ক এবং বহরপুর কলেজ থেকে ভাতসালা হয়ে রাজধরপুর সড়ক। ৬ বছর আগে গাবলার বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য  খাল খনন করে  গজারিয়া খাল দিয়ে হড়াই নদীর সঙ্গে সংযোগ করা হয়। তবে পরিকল্পিতভাবে খাল খনন করা হলেও ভাতসালা-রাজধরপুর সড়কে নির্মিত রিং কালভার্টটি খালের পানি চলাচলে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় কৃষক সুমন শেখ, রায়হান মোল্লা, লুৎফর রহমান, আব্দুস সালাম শেখ, কোরবান মোল্লা, শহিদ মোল্লা, মতিন মোল্লা ও রঞ্জু মোল্লা, মোঃ মজিবর রহমান মোল্লা জানান, রিং কালভার্ট নির্মাণের সময় তারা তৎকালীন ইউপি সদস্য প্রয়াত" মহৎ শেখ "কে বারবার অনুরোধ করেছিলেন কালভার্টটি নিচু করে দিতে। কিন্তু সে কথা কেউ শোনেনি। আজ তারই ফল ভোগ করছেন কৃষকরা।

পরে বড়ভেল্লবাড়ীয়ায় রাস্তায় ধানের চাষ সেই এলাকাও পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বিষয়ে ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য "মোঃ মজিবর রহমান" বলেন, “প্রায় ৬ বছর আগে খালটি খনন করা হলেও এরপর আর কোনো সংস্কার হয়নি। গাবলারবিল ও গজারিয়াখাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের কথা থাকলেও রিং কালভার্ট উঁচু হওয়ার কারণে পানি বের হতে পারে না। ফলে শত শত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়। এতে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হন।”

উপজেলা এলজিইডি'র সাব এ্যাসিষ্টের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বড়ভেল্লাবাড়ীয়ার সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের আইডি রয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে  আগামী স্কীম এলে কাজ করার চেষ্টা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন “বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। আমাদের অর্থনীতি, সমাজ, জীবন — সবকিছুর সাথে কৃষকের জীবন ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশের অর্থনীতিতে কৃষকদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। সেই কারণেই আজ আমি দুইটি প্রকল্প পরিদর্শন করলাম। আগামীতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।