রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার (১৩ই সেপ্টেম্বর) ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কর্তৃক আয়োজিত  বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাদুজ্জামান শিমুল আমির,বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মিঠাপুকুর উপজেলা শাখা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুস সালাম খন্দকার, আমির,১৪ নং দূর্গাপুর ইউনিয়ন, শাহ মোঃ হাফিজুর রহমান ফকির, সেক্রেটারি ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন, নুরুল হুদা আশরাফী, সভাপতি, যুব বিভাগ ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন,মাওলানা আকমাল হোসেন, সভাপতি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন, আহাদ মন্ডল, সেক্রেটারি,বাংলাদেশ  শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন, মাজহারুল ইসলাম সেক্রেটারি ৮ নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ।

সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন শামসুল হক সরদার সভাপতি,৮ নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।সঞ্চালনায় সাজেদুর রহমান সবুজ,বাইতুলমাল সম্পাদক,যুব বিভাগ ১৪ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন, 



প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আসাদুজ্জামান শিমুল বলেন, 
আল্লাহর হুকুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর নির্যাতন, মামলা, হামলা, ঘুষ ও দুর্নীতি থেকে দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে। এতে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।মিঠাপুকুর সহ পুরো বাংলাদেশ  ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এ লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, গত ১৭ বছর একটি দলের ওপর যে রকম জুলুম করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্য কোনো দলের ওপর সে জুলুম করা হয়নি। সে দলের নাম হলো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।একে একে ১১ জন দায়িত্বশীল শীর্ষ নেতাকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় বিচারের নামে জুলুম করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,মিঠাপুকুরে জীবন্ত শহীদ তৌহিদ বেঁচে থেকেও তার কোন মূল্য নেই সে পঙ্গুত্ববরণ করেছে,লাভলু শাহ্কে শহীদ করা হয়েছে। এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন ।আমাদের শত শত কর্মীকে গুম করা হয়েছে।হাজার হাজার কর্মীকে পঙ্গু করা হয়েছে। দুই চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে,গুলি করে অন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, হাত,পা কেটে ফেলা হয়েছে।কী যন্ত্রণা!আমরা সব অন্যায় সহ্য করে এতটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছি।এখন আমাদের সময় এসেছে সত্য প্রকাশ করার। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতেছি এটাই সত্য সমাগত,মিথ্যা বিলপ্তি।  সেই দিনের কথা আমরা ভুলি নাই।আমাদের যেভাবে নির্যাতন করেছে,আইয়্যাম জাহিলিয়াত যুগকে হার মানিয়েছে। দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধান অতিথী তার বক্তৃতা শেষ করেন। 

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বক্তারা বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে ন্যায় এবং ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র কায়েম করবে বাংলাদেশ জামাত ইসলাম। কেউ যদি ভোট সেন্টার দখল করতে চায় আমরা তা প্রতিহত করব। আমরা ভোট সেন্টার দখল করবো না, জাল ভোট দেব না, ভোট সেন্টার দখল হতে দেবো না, জাল ভোট দিতে দেবো না। আমরা এগুলোকে কঠোর হস্তে প্রতিহত  করব ইনশাল্লাহ।