অস্থায়ী ও ভঙুর অবকাঠামো দিয়ে গড়ে ওঠা ক্যাম্পগুলো ঘূর্নিঝড়ে স্বাভাবিকভাবেই টিকতে পারবে না সেক্ষেত্রে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ভাগ্যে জুটবে না থাকার জায়গা।

আবহাওয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড়ের রূপ নিয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। সেই অনুযায়ী মোখার মূল অংশটি কক্সবাজার দিয়ে অতিক্রম করবে। ধারনা করা হচ্ছে ১৫০ কি.মি বেগেরও অধিক শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্নিঝড়টি। এই নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক আবহাওয়াবিদ ও সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে অনেক বড় ঝুকিতে। অস্থায়ী ও ভঙুর অবকাঠামো দিয়ে গড়ে ওঠা ক্যাম্পগুলো ঘূর্নিঝড়ে স্বাভাবিকভাবেই টিকতে পারবে না সেক্ষেত্রে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ভাগ্যে জুটবে না থাকার জায়গা।

আর যদি এমনটি ঘটে তাহলে বিভিন্ন বিদেশি সাহায্য ও ত্রান সরবরাহ কমে যাওয়ার পর মোখা হয়ে উঠতে পারে রোহিঙ্গাদের "বিষফোঁড়া"। পাশাপাশি কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা, বনাঞ্চল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। আজ রাতের সর্বশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে গভীর নিম্নচাপটি ঘন্টায় ১৭ কি.মি গতিতে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে এবং এর বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫৫-৬০ কি.মি. । তারা আরো জানিয়েছে  গভীর নিম্নচাপটি   যেকোন সময় ঘূর্নিঝড়ে রূপ নেয়ার পর এর সঠিক গতিবিধি আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বেশিরভাগ ঘূর্নিঝড় ভারতের উড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও দীঘা এবং বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী উপকূলসমূহেই বেশি আঘাত হানে। তবে মোখার গতিবিধি বলছে কক্সবাজার ও মায়ানমারের উপকূলের পথেই হাটছে ঘূর্নিঝড়টি।  তাই এই ঘুর্নিঝড়টিকে একটু আলাদা চোখেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। মোখা কেমন ভয়বহতা নিয়ে আসছে তা নিয়েই আতঙ্কিত উপকূলবাসীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার মাধ্যমেই সকলে মিলে মোকাবিলা করতে হবে এই দূর্যোগ।