কুড়িগ্রাম জেলার কাঁঠালবাড়ি ও ছিনাই ইউনিয়নে অবস্থিত প্রায় ৭ একর জমিতে লটকন বাগান। প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় ঝুলছে অসংখ্য নটকন। মৌসুমে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয় করেন ।
বাগানে স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসাইন শখের বসে সুপারির বাগানের সাথী ফসল হিসাবে নটকন চাষ করেন।তার এই শখের নটকন বাগান আজ তাকে লক্ষ টাকার মালিক বানিয়েছে। নটকন লাভ জনক হওয়ায় পরবর্তী সময়ে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করে আজ তার বাগানে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার নটকন গাছ রয়েছে, সাথী ফসল হাওয়ায় তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয় না। শুষ্ক মৌসুমে পানির সেচ আর স্বল্প খরচের ওষুধ কীটনাশকই যথেষ্ট। বাগান দেখ ভাল করার জন্য ৬ থেকে ৭ জন শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করেন। বাগান থেকে আয়ের টাকা দিয়ে তাদের প্রতিদিনের মজুরি দেওয়া হয়।
এতে বছরে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় হয় । বছর বাড়ার সাথে সাথে প্রতিটি গাছ দিচ্ছে লাভজনক ফলন।তার দেখে এলাকার বিভিন্ন চাষী এ বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাইতো প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে তার বাগান পরিদর্শনে আসছেন অনেকেই। নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ।লটকনের চাষ নরসিংদীতে বেশি হলেও বর্তমান উত্তরাঞ্চলে এর ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। লটকনে রয়েছে ঔষধি গুণ।পেট ফাঁপা, গ্যাস্টিক, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি বছরে দিচ্ছে বাম্পার ফলন।
বাগানের স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে আব্দুল লতিফ বলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ব্লক সুপারভাইজার নাম মাত্র কয়েক বার দেখা শোনা করার জন্য আসেন। তাদের থেকে তেমন কোনো সাহায্য সহযোগিতা আমরা পাই না।কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন জুন, জুলাই দুই মাস হারভেস্টিং এর সময়। এবার মোটামুটি ভাল ফলন। তাই কৃষকরা গত বছরের চেয়েও এবার ভালো লাভের আশা করছে।