ময়মনসিংহে স্টেশন রোডে অস্থায়ী হকার্স মার্কেট এবং তাজমহল মোড় থেকে নতুন বাজার এলাকায় রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে গড়ে উঠা অবৈধ ভাসমান দোকান ও হকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।এর ফলে দীর্ঘদিনের যানজট ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে সাধারণ মানুষ।

রোববার (১৭ আগস্ট)বেলা ১২.০০ ঘটিকা হতে বিকেল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত তাজমহল মোড় সংলগ্ন এলাকায় সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শাহনেওয়াজ মোর্শেদ অপুর নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স বাহিনীর সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ নাহিয়ান ইসলাম, র‌্যাব-১৪ সদর দফতরের ডিএডি রফিক, আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ডেন্ট রবিউল ইসলাম, ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নগরীর প্রধান সড়ক স্টেশন রোড থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত ফুটপাতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব দোকান ও হকারদের কারণে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং এর ফলে সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টের কারণে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম।

এসময় নিউ হকার্স মার্কেট গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচজন দোকানদারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা প্রশাসনের একটি সুত্র জানিয়েছে- রবিবার বেলা ১২.০০ ঘটিকা হতে বিকেল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত তাজমহল মোড় সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ হকার্স মার্কেট উচ্ছেদে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে  জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের  ২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, আনসার এবং সিটি করপোরেশনের স্টাফ ও শ্রমিকসহ মোট প্রায় ১৫০ জন সদস্যের সমন্বয়ে এ টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষে নতুন করে যাতে ঐ এলাকায় পুনরায় হকার বসতে না পারে সে লক্ষ্যে তাজমহল মোড়, গাঙ্গিনারপাড় মোড় ও মেছুয়া বাজার মোড় সংলগ্ন এলাকায় আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

তবে, উচ্ছেদের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হকাররা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, হঠাৎ করে তাদের দোকান ভেঙে দেওয়ায় জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্থায়ী পুনর্বাসন জরুরি বলে মনে করছেন হকার ও সাধারণ মানুষ।

গাঙ্গিনারপাড় ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হকারদের যাতে আর ফুটপাত দখল করতে না হয়, সেজন্য ২৫ জন আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। এতে আশা করা যায়, ফুটপাত স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত থাকবে এবং মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন হবে।

স্থানীয়দের মতে, এই ধরনের অভিযান প্রায়ই হয়, কিন্তু পরে আবার ফুটপাত দখল হয়ে যায়। তাই, তারা একটি স্থায়ী সমাধান চান যাতে বারবার এই ভাঙা-গড়ার খেলা চলতে না থাকে।

বিশিষ্টজনদের মতে-এই অভিযান নগরীর যানজট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা নগরবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমিয়ে এনেছে।