চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গেল কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি তীর বরাবর কানায় কানায় পূর্ণ, পাহাড়ধসের আশংকা দেখা বেশ কিছু এলাকায়, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গেল কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি তীর বরাবর কানায় কানায় পূর্ণ, পাহাড়ধসের আশংকা দেখা বেশ কিছু এলাকায়, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা।

মঙ্গলবার (২৮মে) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরোজনীনে দেখা যায়, থেমে থেমে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ায় রাঙ্গুনিয়ার একাধিক স্পটে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ পড়েছে। এতে ছিড়ে গেছে তার। উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্পটে বিধ্বস্ত হয়েছে একাধিক খুঁটি। অনেকের বসতঘরে ভেঙে গেছে বৈদ্যুতিক মিটার। এতে সকাল থেকেই রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। অন্যদিকে পাহাড়ি এলাকায় ছোট ছোট ধসের খবর পাওয়া গেছে। কর্ণফুলীর জোয়ারের পানিতে উপজেলার বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।এছাড়াও পাহাড়ের চূড়া ও পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে থাকা বাসিন্দাদের দুর্ঘটনা এড়াতে সরে যেতে মাইকিং করেছে উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস।

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের রাঙ্গুনিয়া অফিসের এজিএম খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, থেমে থেমে বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়ার কারণে সকাল থেকেই বৈদ্যুতিক লাইন, খুঁটি। ও মিটার ভাঙার খবর আসছে। আমরা এসব সারিয়ে লাইন চালু করতেই ফের বিপর্যয় হচ্ছে। তাই লাইন চালু করা যাচ্ছে না। বৈরী পরিস্থিতিতেও আমাদের লোকজন সঞ্চালন লাইন স্বাভাবিক করতে মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে গেল কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পাহাড়ের চূড়ায় থাকা লোকজনকে অন্যত্র সরে যেতে মাইকিং করেছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৯ হাজার একর সরকারি ও ১৫ হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি ও পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড়ে প্রায় দশ হাজার বসতঘর রয়েছে। এর মধ্যে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। প্রতিবছর ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে একাধিক বসতঘর মাটি চাপা পড়ে। ২০১৭ সালের ১৩ জুন উপজেলার রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের দুই পরিবারের ২২ জনসহ পাহাড় ধসে প্রাণ হারিয়েছেন। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে এক শিশুসহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।