রাজধানী ঢাকার দিয়াবাড়িতে উত্তরা সেন্ট্রাল মেট্রোরেল স্টেশনের ৮৪ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় দশ কাঠা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন কৃষক হাশেম মিয়া।
যা দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল সহ অনেক দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা। বিস্তৃত দিয়াবাড়ির সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে সবুজের মাঝে ঝলমল করতে থাকা হলুদ সূর্যমুখী। সকালে পূর্ব দিকে মুখ করে থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দিক পরিবর্তনের আদলে ধীরে ধীরে পশ্চিম দিকে নুইয়ে পড়েছে হলদে রঙের সূর্যমুখী যা দেখতে বেশ দারুন লাগছে পর্যটকদের কাছে। মেট্রোরেলের জানালা দিয়ে ভ্রমণ করতে করতেও এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছেন অনেকে, যা মেট্রোরেলের যাত্রীদেরকে রোমাঞ্চিত ও যাত্রাকে উপভোগ্য করে তুললছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় গেল কয়েকদিন যাবত দিনভর পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত হয়ে থাকছে এই সূর্যমুখী বাগানের প্রাঙ্গণ।
সংবাদের গুরুত্বপূর্ণ লাইন:আশেপাশে থাকা শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এবং বিজিএমইএ এর শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে প্রায়ই চলে আসছেন এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রিয়জন, বাচ্চা, পরিবার সহ ছুটে আসছেন অনেকেই।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় রাজধানীর যান্ত্রিক জীবনে সচরাচর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ তাদের হয়ে উঠে না তাই তারা এই সুযোগে সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলে আসছেন।তবে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং স্মৃতি স্বরুপ ছবি তুলতে সাধারণ দর্শনার্থীদের কাটতে হচ্ছে বিশ টাকা মূল্যের টিকিট এবং দশ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে বাগানটি।সবচেয়ে চাইতে মজার বিষয় হচ্ছে টিকটকারদের জন্য কর্তৃপক্ষ টিকিট মূল্য নিচ্ছেন পঞ্চাশ টাকা। টিকটকারদের বিশ্বাস সূর্যমুখীর সঙ্গে ভিডিও বানালে অধিক ভিউ পাওয়া যাবে তাই তারা পঞ্চাশ টাকা দিতেও কোন দ্বিধাবোধ করছে না।