রাজধানীর লালবাগ এলাকায় বসবাসকারী মাহবুব আলম (৩২) অটোরিক্সা চালিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। গত মঙ্গলবার ৩১/১২/২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ১০:০০ ঘটিকায় ভিকটিম মাহবুব থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এরপর গত বুধবার ০১/০১/২০২৫ তারিখ মাঝরাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিচ্চি মনির গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য আসামী মোঃ জাহাঙ্গির (৩০), পিতা- মৃত আবুল কালাম,সাং-বৌদ্ধ পাড়া,থানা-লালবাগ, ঢাকাসহ তার সঙ্গীয় অপরাপর আসামিরা রাজধানীর লালবাগ থানাধীন ২৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত জেএন সাহা রোডস্থ এলাকায় ভিকটিম মাহবুবকে ঘিরে ধরে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আসামিদের আক্রমনে ভিকটিম মাহবুব হাতের বাহু, মাথার পিছনে, পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃতুবরণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম মাহবুবের পরিবার খবর পেয়ে উক্ত স্থানে গিয়ে মাহবুবের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম মাহবুবের মা মোছা. আমেনা বেগম বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় জাহাঙ্গিরসহ ১৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১, তারিখ-০২/০১/২০২৫ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে জাহাঙ্গিরসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ০৭/০১/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ০৯:৫৫ ঘটিকায় র্যাব-১০, লালবাগ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন আশরাফাবাদ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক মাহাবুব হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ জাহাঙ্গির আলম (৩০), পিতা- মৃত আবুল কালাম, সাং-বৌদ্ধ পাড়া, থানা-লালবাগ, ঢাকা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছে।গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।