রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নলিয়া এলাকায় ফসলী জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নলিয়া এলাকায় ফসলী জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত।
বুধবার (১৪ মে) রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহসিন হাসান সংবাদ মাধ্যমে উল্লেখিত খবর প্রকাশিত হওয়ায় স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবে এ আদেশ প্রদান করেন।
আদেশে আদালত উল্লেখ করেন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি সত্য হলে তা “ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩” এর ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন। যা একই আইনের ১৮ ধারায় অনধিক ৫ (পাঁচ) বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফলে, প্রকাশিত সংবাদের ও তাতে বর্ণিত ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানের জন্য এবং ঞযব ঈড়ফব ড়ভ ঈৎরসরহধষ চৎড়পবফঁৎব, ১৮৯৮ এর ধারা ১৯০ (১) (সি) অনুযায়ী আমলে গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশনা প্রদান করা যুক্তিতর্ক।
এমতাবস্থায় আদালত ঞযব ঈড়ফব ড়ভ ঈৎরসরহধষ চৎড়পবফঁৎব, ১৮৯৮ এর ধারা ১৯০ (১) (সি) ধারা মোতাবেক অপরাধটি আমলে নেয়ার নিমিত্তে পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালককে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাইপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণসহ আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।
রাজবাড়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশীদ বলেন, আদালতের আদেশের কপি তিনি হাতে পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ পূর্বক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য গত ১২ মে “রাজবাড়ীতে ফসলী জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া বৃমাগুরা এলাকায় ফসলী জমিতে ইটভাটা নির্মাণ শুরু এবং ওই ভাটার মাটি টানার ট্রাক্টরে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করা হয়। উল্লেখিত সংবাদের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ীর পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপ্রণোদিতভাবে এ আদেশ প্রদান করেন। আগামী ২৯ মে আদালত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য্য করেছেন।