রাজবাড়ীর সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বড় মুরারীপুর গ্রামে জমির ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে মারপিট, বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী বড় মুরারীপুর গ্রামের পিয়ারুল (৩০) বিপ্লব সরদার (৩৯) সোহাগ সরদার ( ৩০) সহ ১০/১২ জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা বড় মুরারীপুর গ্রামের আরশেদ শেখ এর স্ত্রী ময়না বেগমকে মারপিট করে, বসতঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। আরশেদ শেখের স্ত্রী ময়না বেগম জানায় ঘাস কাটা নিয়া পিয়ারুলের সাথে বিরোধের জের ধরিয়া বিভিন্ন সময় আমার স্বামী ও আমার পরিবারের লোকাজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া মারপিট করিতে আসে। আজ শুক্রবার ১৭ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে টার দিকে পিয়ারুলের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন লোহার ধারালে চাপাটি, ছ্যান দা, হাতুড়ী চাইনিজ কুড়াল, লোহার পাইপ, কাঁঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি নিয়া ঘটনাস্থল রাজবাড়ী থানাধীন রামকান্তপুর ইউনিয়নের বড় মুরারীপুর এলাকায় আমার বসত বাড়ীতে বেআইনী ভাবে জোর পূর্বক প্রবেশ করে আমাদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে, আমাকে মারপিট করে, অস্ত্র দেখে আমি ও আমার পুত্রবধু সম্পা (১৮) ঘটনাস্থলের পাশে পালিয়ে থাকি। পরে পিয়ারুলের নেতৃত্বে ১০/১২জন লোহার ধারালো চা-পাটি, ধারালো বড়-দা, হাতুড়ী, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার পাইপ, কাঁঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি নিয়ে আমাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা আসবাব পত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র ভাংচুর করে এবং আমাদের বসত ঘরের সাথে থাকা মুদির দোকানে প্রবেশ করে ভাংচুর করে আনুমানিক ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং বিবাদীরা ঘটনাস্থল আমার বসত বাড়ী হতে বিভিন্ন জিনিস-পত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমরা বিবাদীদের ভয়ে এখনো পালিয়ে রয়েছি।
ময়না বেগম আরো বলেন, আমরা তাদের ভয়ে বাড়ী থেকে গরু ছাগল সহ কোন কিছুই আনতে পারছি না। এমনকি বাড়ীতে প্রবেশ করতে পারছি না। তিনি বলেন আমি সুবিচারের জন্য রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।