একসময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এই ধরাধামে প্রেরণ করেন। পবিত্র কোরআন শরিফে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭) ।
এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে। তারই ধরাবাহিকতাই রাজশাহীতে ভাবগাম্ভির্য ও জাঁকজমক ভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা হয়। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর শুভ আগমন উপলক্ষে ১২ই রবিউল আওয়াল রোববার (৯ অক্টোবার ) সকাল ৯ টার দিকে রাজশাহী নগরীর শিরইল কলোনীর বায়তুল মামুর জামে মসজিদ থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজশাহী মহানগর গাউছিয়া কমিটির উদ্যোগে জশনে জলুস ধর্মীয় র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শিরইল কলোনী ৪নং গলির শেষ মাথায় বায়তুল মামুর জামে মসজিদ প্রঙ্গন থেকে বের হয়ে দরগাপাড়া হযরত শাহ মখদুম (রাঃ) এর মাজারে চাদরপুসি, পুস্পস্তবক অর্পন ও মাজার জিয়ারত করে সমগ্র মুসলিম উম্মার এবং দেশ ও জাতির জন্য শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন শিরইল কলোনী বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মৌলানা আতাউল মোস্তাফা কাদেরী। র্যালী শেষে মসজিদে ফিরে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া করে প্রায় পাঁচ হাজার প্যাকেট তাবারুক বিতরন করা হয় । এসময় গাউছিয়া কমিটির সভাপতি ড: শরিফুল ইসলাম,সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন মুন্না, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, এবং উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক ডা:শাহিদ আলীসহ সাহজাহান আলী, খালেদ হোসেন ভোলা,আজাহার আলীমুন্না জমসেদ আলী,আসলাম,নজরুল কাওশার সালাহ উদ্দিন প্রমুখ ,এর পক্ষ থেকে নবী ও রাসুলের প্রেমীকদেরকে আনন্দ র্যালীতে এসে দিনটি উদযাপনে সহযোগিতা করা, আইনশৃংখলা বাহিনীর শৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করায় এবং অনুষ্ঠানটি প্রচার করারজন্য সাংবাদিকরদের প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ করাহয়।