এ বছর ইরি ধান কাটা মাড়াইয়ের পর চাষযোগ্য জমিগুলো বৃষ্টির অভাবে পরে ছিলো। সপ্তাহ জুড়ে টানা বৃষ্টির কারনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে রোপা-আমন ধান লাগানোর জন্য কৃষকরা হাল চাষ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় প্রায় ৯শ’ হেক্টর বীজতলা রোপনের উপযোগী হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, আমন ধান কাটার পর আবার ওই জমিতে আলু, সরিষা আবাদ করবেন এমনটায় লক্ষ্য নিয়ে কৃষকরা জমি প্রস্তুত করছে। জানা যায় , চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আবাদযোগ্য প্রায় ১৭হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ইতি মধ্যে ¯সল্প পরিসরে ধান লাগানো শুরু হয়েছে। আমন ধান কেটে কৃষকরা মাঠে আলু, সরিষাসহ বিভিন্ন প্রকার রবিশষ্য আবাদের লক্ষ্য নিয়ে আগাম জাতের ব্রি ধান ৯০, বিনা ১৭, ব্রি ৭৫, স্বর্ণা-৫, পাইজামসহ বিভিন্ন জাতের ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলার কসবাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল রাজ্জাক জানান, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে আমি প্রায় ২০বিঘা জমিতে ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে আমার বীজতলার চারা ও তৈরি হয়েছে। ধান কেটে জমিতে সরিষার আবাদ করবো কিছু আলু লাগানোর চিন্তা ভাবনা রয়েছে। কালিগ্রাম মরু পাড়া গ্রামের মোঃ মুনছুর আলী বলেন আমি প্রায় ৩ বিঘার মতো আগাম জাতের ধান লাগাবো সেই ধান কেটে কিছু আলু আর বাকি পুরোটাই -সরিষা লাগাবো। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ১৭হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ইতি মধ্যে প্রায় ৯শ’ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। এর পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে বলে জানান তিনি।