ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ঐতিহাসিক রুপা দরবার শরিফের ৭০ তম ওরশ মাহফিলের পূর্বে পারিবারিক দ্বন্দ্ব কে মাজারের সাথে জড়িয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মাজার পরিচালনা কমিটি, ভক্তবৃন্দ ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ঐতিহাসিক রুপা দরবার শরিফের ৭০ তম ওরশ মাহফিলের পূর্বে পারিবারিক দ্বন্দ্ব কে মাজারের সাথে জড়িয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মাজার পরিচালনা কমিটি, ভক্তবৃন্দ ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানান। ৮ জানুয়ারী বুধবার উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের রুপা দরবার শরিফ প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ করেন মাজার পরিচালনা কমিটি, ভক্তবৃন্দ ও এলাকাবাসী। মাজার পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, শাহ সূফী হযরত মন্তাজ উদ্দিন (রঃ) এর মাজারে দীর্ঘ ৭০ বছর যাবত ওরশ মাহফিল হয়ে আসছে। কাদেরিয়া তরিকার এই ওরশ মাহফিলে হালাকা জিকির, সামা কাওয়ালী ও মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করা হয়। এখানে বেপর্দা, বেহায়াপনা, অশ্লীল কর্মকান্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন থেকে মাজার পরিচালনা কমিটি কটুর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।কমিটির কাউকে কিছু অবগত না করে হঠাৎ বিগত কিছুদিন যাবত একটা পারিবারিক দ্বন্দ্ব কে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যক্তি মাজারের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে যাচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মাজার পরিচালনা কমিটি এসব কর্মকান্ড মর্মাহত। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এমন একজন আল্লাহ ওলির মাজারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। একাধিক ভক্ত মুরিদান জানান, শাহ সূফী হযরত মন্তাজ উদ্দিন (রঃ) এর মাজারের আমরা ভক্ত মুরিদান আমরা কখনো এই মাজারে অশ্লীল কর্মকান্ড ও মাদকের ছাড়াছাড়ি দেখিনি।হঠাৎ ইদানিং এক পরিবার ও কিছু দুষ্ট লোক ভিত্তিহীন অপপ্রচার শুরু করেছে। মূলত এটা তাদের জায়গা সম্পত্তির বন্টন নিয়ে দ্বন্দ্ব। আমরা এলাকাবাসী বুঝতে পারছি না কেন পারিবারিক দ্বন্দ্ব কে কেন্দ্র করে মাজারের ঐতিহ্য ও সুনাম নষ্ট করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছে। শাহ সূফী হযরত মন্তাজ উদ্দিন (রঃ) এর ভাতিজা মোঃ রুস্তম আলী জানান, আমার শ্রদ্ধেয় চাচার দরবার শরিফের সামনে একটি জমি ক্রয় করে কাগজ করেছিলো মোঃ খায়রুল আলম এর নামে। কথা ছিলো পরে জমিটি মাজারের নামে ওয়াকফা করে দিবে। কিন্তু সে মাজারের নামে জমি ফিরিয়ে না দিয়ে ওনার ছোট ছেলের শামসুজ্জামান ফুলসার নামে লিখে দেওয়ার কারনে মাজার পরিচালনা কমিটির প্রধান সেবক ম ফ স তাবরিজ সরকার প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। তার পরেই তারা পবিত্র মাজার নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।