দেশের সবচেয়ে উত্তর-পূর্বে অবস্থিত কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় অবস্থিত রমনা রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরে একটি কৌতুহলী ঘটনায় চমকে গিয়েছে এলাকার মানুষ।

দেশের সবচেয়ে উত্তর-পূর্বে অবস্থিত কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় অবস্থিত রমনা রেলওয়ে স্টেশনের অভ্যন্তরে একটি কৌতুহলী ঘটনায় চমকে গিয়েছে এলাকার মানুষ। চমকপ্রদ এ ঘটনার সাক্ষি হতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছে মানুষ। এতদিন রেলওয়ে ইঞ্জিনের ভিতরের জ্বলজ্বল আগুন জন ছুটছেন রেলওয়ে স্টেশনের প্লটফরমে অবস্থিত একটি কড়াই গাছ দেখতে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) ভোর থেকেই লোকজন ভীর করে দেখছেন অদ্ভুদভাবে গাছটির বিভিন্ন কোটরের অভ্যন্তরে জ্বলজ্বল করা জ্বলন্ত আগ্নিকান্ড। এ আগুন কোথা থেকে এল আর কিভাবে গাছের অভ্যন্তরে প্রবেশ করল এনিয়েও চলছে নানান ব্যাখ্যা। খবর পেয়ে চিলমারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা প্রথম দফায় গলদঘর্ম চেষ্টা করেও ভিতরের আগুনে নেভাতে সক্ষম হননি। ফলে এ নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ব্যাখা দিচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে ভোরের কোন এক সময়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। যা দুপুর আড়াইটার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
রমনা ব্যাপারীপাড়ার মকবুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে চাক্ষুষ দেখতে আসি। সত্যি আশ্চার্য ঘটনা। এভাবে গাছের ভিতর দীর্ঘক্ষণ ধরে আগুন জ¦লতে দেখিনি আমি। ফায়ার সার্ভিস অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি। ফলে তারা চলে যায়।
থানা পাড়ার কামরুল (২৪), হ্নদয় (২৪) ও শান্ত (২২) জানায়, এটা আল্লাহর কুদরত। তিনি মাঝে মধ্যে মানুষকে সতর্ক করতে এসব নিদর্শন প্রদর্শন করেন।
মাস্টার পাড়া এলাকার বর্ষিয়ান কাসেম আলী (৬০) জানান, এই আগুন কেউ লাগিয়েও দিতে পারে। অনেক দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ আছে যারা এসব কাজ করে মজা পায়। এনিয়ে ধর্মীয় ব্যাখা দেয়াটা যুক্তিযুক্ত মনে করছি না।
রমনা মাঝিপাড়ার কমলা রানী (৩৫) ও সুবলা বালা (৪০) জানান, এটা ভগবানের কৃপা। গড়ম বেশি পরার কারণে ভগবান এটা নিদর্শন দেখাইলেন।
শিক্ষার্থী নাজমা ও কেয়া জানায়, প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। এখানে এসে দেখলাম সত্যি সত্যি গাছের ভিতরে আগুন জ্বলছে। এনিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন ধরণের মতামত ব্যক্ত করছেন। এগুলো শুনেও মজা পাচ্ছি।
এ ব্যাপারে চিলমারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার ফারুক হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করি। গাছের কান্ডসহ তিনটি ডালের মধ্যে দুটি ডালে প্রচন্ডভাবে আগুন জ্বলছিল। যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। আগুন কমে আসায় দুটি ডাল ভেঙ্গে পরে। এরপর আমরা দ্বিতীয় দফায় পুরোপুরি আগুন নেভাতে সক্ষম হই।
বিষয়টি নিয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক জানান, খবর পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি নিয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিস ও পরে রেলওয়ে বনবিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস দ্বিতীয় দফা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে। #