ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘাতকে ঘিরে যশোরের শার্শা ও চৌগাছা সীমান্তে ৭০ কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তবে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোয় কিছুুটা স্বস্তি ফিরেছে। এছাড়াও শার্শা ও চৌগাছা সীমান্তে বিএসএফের পুশইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে ৪৯বিজিবি।
শার্শা উপজেলা সীমান্তবর্তী ঘীবা গ্রামের সীমান্তের বাসিন্দা মুস্তাফিজুর রহমান মারুফ জানান, যশোরে সীমান্ত পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক আছে। বিএসএফের অপতৎপরতায় কোনো প্রকার অনুপ্রবেশ বা চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত এলাকাবাসী।
বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি আলমগীর হোসেন বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও এখানকার পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক। তবে আগে ৫০০ গজ অন্তর অন্তর একজন বিএসএফ সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও এখন ৩০০ গজ অন্তর অন্তর তাদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এটা কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। বিএসএফ যদি কোনোরকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে বিজিবির সঙ্গে আমরা স্থানীয়রা মিলে তা প্রতিহত করব।
চৌগাছার সীমান্তের জনপ্রতিনিধি আজিজ মেম্বার সাথে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তে কোনো আতঙ্ক নেই। স্বাভাবিকভাবে চলছে সবকিছু তবে টিভি ও পত্রিকায় দেখছি কোনো কোনো সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে অনেককে এ দেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস এন্ড এক্সপোটার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রফতানিও স্বাভাবিক রয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল তাই ভারতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে বাংলাদেশেও তার আঁচ আসার আশংকা থাকে। বর্তমান আমদানি-রপ্তানি সচল সহ দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী ও উপ অধিনায়ক মেজর ফারজিন ফাহিম জানিয়েছেন, যশোরের শার্শা ও চৌগাছা সীমান্তের ৪৯ বিজিবি অধিনস্ত ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে। উক্ত এলাকায় ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল জোরদার করা হয়েছে। বর্তমান সীমান্তজুড়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানের পাশাপাশি স্থানীয়রাও সীমান্তের দিকে নজর রাখছেন। তিনি জানান, ভারত থেকে যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তে বর্তমান পরিস্থিতিতে আলাদা করে বিজিবির জনবল বাড়ানো হয়নি। আগে থেকে যারা দায়িত্ব পালন করছিলেন তারাই আছেন। শুন্য রেখার কাছে অবস্থান করা গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হয়েছে।