রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আনসার ক্যাম্পের সামনে শেষ হয় এবং সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।এর আগে, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রবিবার দুপুর থেকেই সচিবালয় অবরোধ করে রাখেন আনসার বাহিনী। তাদের অনঢ় অবস্থার কারণে রবিবার রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ভেতর থেকে বের হতে পারেননি কয়েকজন উপদেষ্টা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের দিনব্যাপী সচিবালয়ে আটকে রেখে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর আনসার বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আনসার ক্যাম্পের সামনে শেষ হয় এবং সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।এর আগে, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে রবিবার দুপুর থেকেই সচিবালয় অবরোধ করে রাখেন আনসার বাহিনী। তাদের অনঢ় অবস্থার কারণে রবিবার রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ভেতর থেকে বের হতে পারেননি কয়েকজন উপদেষ্টা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ফলে তারা তীব্র ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। পরেধ রাত দশটায় রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে প্রায় ৩৫ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থিতিশীল হওয়ার আগেই যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তারা মূলত স্বৈরাচারপন্থী। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাদের যদি দাবিদাওয়া থাকে তাহলে অবশ্যই নিয়ম তান্ত্রিকভাবে তারা তা উপস্থাপন করবে। এই মুহূর্তে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় আমরা যখন বন্যার্তদের সহযোগিতায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি, ঠিক তখনই আনসার বাহিনী দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সচিবালয় ঘেরাও করেছে। তাদের প্রত্যেকটি দাবি মেনে নেওয়া আশ্বাস দিলেও তারা একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের আটকে রেখেছিল। আনসার বাহিনীর প্রধান একজন আওয়ামী সন্ত্রাসী।

তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আনসার সদস্যরা যদি কাল সকালের মধ্যে নিজ কর্মস্থলে ফিরে না আসে, তবে চিরদিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। তাদেরকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি অতি দ্রুত তারা তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসুক। এই দুঃসময়ে তারা যদি জনগণের পাশে না থেকে, তারা যদি তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করে তাহলে সারা দেশের ছাত্রসমাজ তা রুখে দিতে প্রস্তুত।