শেরপুর সদর উপজেলার গাজিরখামারের কুমরী তেঘরিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা সামিউল হকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে আনিস নামে কথিত এক ভূয়া সমন্বয়কের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর ১২ টায় একদল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের কে সঙ্গে নিয়ে ভূয়া সমন্বয়ক আনিস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন দাবি দাওয়ার অযুহাতে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার সাথে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তারা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করে ও তাদের উপর হামলা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: বেলাল হোসেন বলেন, দেশে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমাদের তেঘরিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকার আনিস নামে এক ছাত্র নিজেকে সমন্বয়য়ক দাবি করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করে। অধ্যক্ষ চাঁদা না দেওয়ায় গত ০২ সেপ্টেম্বর সে কতিপয় সন্ত্রাসী নিয়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে হামলা করে ও শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে। আমরা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
পরে আনিসের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করার বিষয়টি শেরপুরের আসল সমন্বয়করা অবগত হলে তারা মাদ্রাসায় এসে আনিস কে ধরে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিতে চাইলে সে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। আমরা এর বিচার চাই। "এবিষয়ে আনিস চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে।এবং সে নিজেকে কখনও সমন্বয়ক পরিচয় দেয়নি বলে জানায়। তবে সাবেক এমপি ছানু তার আত্মীয় বলে স্বীকার করে।তিনি আরও বলেন মাদ্রাসার অনিয়ম সম্পর্কে কেউ কথা বললেই তার নামে মামলা করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কুমরী তেঘরিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা সামিউল ইসলাম বলেন, সাবেক স্বতন্ত্র এমপি ছানুর কর্মী আনিস আমার কাছে দীর্ঘ দিন যাবৎ চাঁদা দাবি করে আসছিলো।এখন আবার ভূয়া সমন্বয়ক সেজে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আমার মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। আমরা বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানিয়েছি, আমি এর সুবিচার চাই।