গত দুদিন সখিপুরে এ দিবস পালন নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজও (বৃহস্পতিবার) সকালে দুই গ্রুপ মারমূখী অবস্থানে ছিল। গত রাতে সখিপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিমের সিদ্ধান্ত ছিল যে সকাল ১১টায় নতুন কমিটি অনুষ্ঠান পালন করবে। আর পুরাতন কমিটি দুপুরের পর ২টার মধ্যে অনুষ্ঠান করবে।
কিন্তু পুরাতন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর পত্রিকার সখিপুর প্রতিনিধি মাসুদ রানা সকাল ৮টা হতেই চেয়ার টেবিল বসিয়ে কিছু সংখ্যক নেতা কর্মী নিয়ে ডাকবাংলো দখল করে বসে থাকে। এর পর ৯টায় নতুন আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আঃ ছামাদ সিকদারের লোকজন এসে দেখে যে ডাকবাংলোতে মাসুদসহ লোকজন বসে আছে। পরে সখিপুর থানায় ফোন করলে, থানা থেকে কয়েকজন অফিসার এসে মাসুদগংদের ডাকবাংলো থেকে বের করে দেন। এর পর মাসুদ গংরা তাদের পার্টি অফিসে গিয়ে জড়ো হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বহিঃস্কৃত সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আশরাফ ছিদ্দিকী এসে অফিস হতে ব্যানারসহ রাস্তা প্রদক্ষিন করে তালতলা চত্তর ঘুরে এসে ডাকবাংলোর পশ্চিম গেইট দিয়
প্রবেশ করে পুরাতন ডাকবাংলোর কাছে পৌছিলে পুলিশ তাদের বাঁধা প্রদান করেন। এতে আশরাফ ছিদ্দিকী বলেন-আমাকে ১৫ মিনিট সময় দেন আমি এখানেই আমার কর্মসুচী পালন করবো। তিনি ঐ অবস্থায় দোয়া পরিচালনা করে বক্তব্য রাখেন। এসময় ফরমান মাষ্টারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রেজাউল করিম,মাসুদ রানা প্রমুখ। দোয়া ও বক্তব্যের পর কাজী আশরাফ সিদ্দিকী সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। উভয় পক্ষের ধাক্কাধাক্কির সময় উপজেলা জাতীয় পার্টি
সভাপতি ছামাদ সিকদার লাঞ্চিত হয়েছেন বলে পৌর জাতীয় পার্টি সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান। এদিকে ১১টায় ডাকবাংলার ভিতরে নতুন উপজেলা কমিটির আহবায়ক আঃ ছামাদ সিকদারের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান রেজার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ রেজাউল করিম রেজা, নুরুজ্জামান, আজাহার মাস্টার, আয়নাল হক সিকদার, হাজি আলমঙ্গীর প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মী এসে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য শুনেন এবং পরে তবারক বিতরণের মধ্যদিয়ে সভার সমাপ্তি হয়।