গত বছর দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশায় এবছর ও লালমী-বাঙ্গীর ব্যাপক আবাদ করেছিলেন চাষিরা। কিন্তু প্রচন্ড খড়া, পোকামাকড় এবং ভাইরারস জনিত কারনে লালমীর ফলন কম হয়।

প্রতিবছর রমজানকে সামনে রেখে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষকরা লালমীর আবাদ করে আসছেন। এ বছর আবহওয়া অনুকূলে না থাকায় গতবছরের তুলনায় এ বছর ফলন কম উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এবং তুলনামূলক দাম না পাওয়ায় লোকশানের বুঝা বইতে হবে বলে কৃষকরা জানান। জেলার মধ্যে সদরপুর উপজেলায় বেশি লালমীর আবাদ হয়ে থাকে। এখান থেকে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী হয়ে থাকে।

গত বছর দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশায় এবছর ও লালমী-বাঙ্গীর ব্যাপক আবাদ করেছিলেন চাষিরা। কিন্তু প্রচন্ড খড়া, পোকামাকড় এবং ভাইরারস জনিত কারনে লালমীর ফলন কম হয়। ভাষানচর ইউনিয়নে কাটাখালী গ্রামের লালমী চাষী জলিল জানান, এ বছর আমি এক একর জমিতে লালমী চাষ করি। ফলন কম হলেও ভালো দামা পেলে লোকশাসের বুঝ বইতে হবে না। এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এবছর উপজেলায় প্রায় ৫শএকর জমিতে লালমী-বাঙ্গীর চাষাবাদ হয়েছে। গত বছররের তুলনায় এবছর আবাদ বেশি হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৩৫টন ফলন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে বাজারে দাম ভালো থাকলে চাষিদের লোকসানের বুঝা বইতে হবে না।